বাজিস-৫ : নওগাঁ জেলায় ৫৭টি আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে ২৫৫৯ পরিবারের আশ্রয়

147

বাজিস-৫
নওগাঁ-২৫৫৯ পরিবার
নওগাঁ জেলায় ৫৭টি আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে ২৫৫৯ পরিবারের আশ্রয়
নওগাঁ, ২৫ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : জেলায় মোট ৫৭টি আশ্রায়ণ প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পে মোট ১ হাজার ৫৬০টি ব্যারাক হাউজে ২ হাজার ৫৫৯টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। গৃহহীন ও ভূমিহীন এসব পরিবার আশ্রায়ণ ও গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় পেয়ে একদিকে যেমন তাদের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে অন্যদিকে প্রকল্পের পুকুরে মাছ চাষ, হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল পালন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক অফিস সুত্রে জানা গেছে, গুচ্ছগ্রাম/ আদর্শগ্রাম প্রকল্পে জেলার ১১টি উপজেলায় ১৮৯ দশমকি ৪৩ একর জমির উপর নির্মিত ৩৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে মোট ১ হাজার ১৩৯টি ব্যারাক হাউজে ১ হাজার ১৩৯টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। আরও ৬টি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২১৮টি ব্যারাক হাউজে ২১৮টি ব্যরাক হাউজ নির্মাণ শেষ হয়েছে। এসব ব্যারাক হাউজে ২১৮টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে দশমিক ৫৭ একর জমির উপর নির্মিত প্রকল্পে ১২টি ব্যারাক হাউজে ১২টি পরিবার আশ্রয় লাভ করেছে।
নিয়ামতপুর উপজেলায় ৪টি প্রকল্পের আওতায় তাতিহার প্রকল্পে ১ দশমিক ৭৯ এক জমির উপর নির্মিত ১৯টি ব্যরাক হাউজে ১৯টি পরিবার, পুঙ্গি প্রকল্পে ৭ দশমিক ০৭ একর জমির উপর নির্মিত ২০টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার, রাউতাল প্রকল্পে ৯ দশমিক ৭০ একর জমির উপর নির্মিত ৫০টি ব্যারাক হাউজে ৫০টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে। এ উপজেলার দামপুরা প্রকল্পে ৬ দশমিক ৫৭ একর জমির উপর ৫০টি ব্যারাক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
পতœীতলা উপজেলায় চকদুর্গারাম পুর গ্রামে ১৩ দশমিক ২২ একর জমির উপর নির্মিত ১০০টি ব্যারাক হাউজে ১০০টি পরিবার ও বালুথা গ্রামে ১ দশমিক ৫১ একর জমির উপর নির্মিত ১৮টি ব্যারাক হাউজে ১৮টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে।
বদলগাছি উপজেলায় মোট ৫টি গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে সোহাসা গ্রামে ৩ দশমিক ০৪ একর জমির উপর নির্মিত ২০টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার ও কামারবাড়ি গ্রামে ৫ দশমিক ৫২ একর জমির উপর নির্মিত ২০টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে। এ উপজেলায় ডাহাকান্দি-১ প্রকল্পে ১ দশমিক ১৩ একর জমির উপর ২০টি ব্যারাক হাউজ, নালুকাবাড়ি-১ প্রকল্পে ১ দশমিক ৯৮ একর জমির উপর ২০টি ব্যারাক হাউজ ও নালুকাবাড়ি- প্রকল্পে ২ দশমিক ৯০ একর জমির উপর ২টি ব্যরাক হাউজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এসব ব্যরাক হাউজ উপকারভোগীদের মধ্যে বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে।
মান্দা উপজেলায় বর্দ্দপুর গ্রামে ২১ দশমিক ৯৪ একর জমির উপর নির্মিত ১৫০টি ব্যারাক হাউজে ১৫০টি পরিবার ও ছোট মুল্লুক গ্রামে ৪ দশমিক ৪২ একর জমির উপর নির্মিত ২৬টি ব্যারাক হাউজে ২৬টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
আত্রাই উপজেলায় ৩টি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মধ্যে মাগুরা আকবরপুর গ্রামে ১ দশমিক ৫৮ একর জমির উপর নির্মিত ৩৩টি ব্যারাক হাউজে ৩৩টি পরিবার, মাগুড়া আকবরপুর-২ গুচ্ছগ্রামে ২ দশমিক ০৮ একর জমির উপর নির্মিত ২০টি ব্যারাক হাউজে ২০টির পরিবার ও কাশিয়াবাড়ি গ্রামে ৫ দশমিক ২৫ একর জমির উপর নির্মিত ৬০টি ব্যারাক হাউজে ৬০টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে।
ধামইরহাট উপজেলায় মোট ৬টি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কাশিপুর গ্রামে ৯ দশমিক ৯০ একর জমির উপর নির্মিত ৪০টি ব্যারাক হাউজে ৯০টি পরিবার, মাহিসন্তোষ গ্রামে ১৩ দশমিক ৮৬ একর জমির উপর নির্মিত ৪২টি ব্যারাক হাউজে ৪২টি পরিবার, বৈদ্যবাটি গ্রামে ৫ দশমিক ৪৮ একর জমির উপর নির্মিত ৪০টি ব্যারাক হাউজে ৪০টি পরিবার, বৈদ্যবাটি-২ প্রকল্পে ০ দশমিক ৯৫ একর জমির উপর নির্মিত ২০টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার আশ্রলাভ করেছে। এ ছাড়াও এই উপজেলায় বৈদ্যবাটি-৩ প্রকল্পে ০ দশমিক ৯৫ একর জমির ৩০টি ব্যারাক হাউজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে যাতে ৩০টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার প্রকিয়া চলছে।
রানীনগর উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হয়েছে ৪টি। এসবের মধ্যে রায়পুর গ্রামে ৫ দশমিক ৬৪ একর জমির উপর নির্মিত ৬০টি ব্যারাক হাউজে ৬০টি পরিবার, ঘাটাগন গ্রামে ৩ দশমিক ১৫ একর জমির উপর নির্মিত ৩০টি ব্যারাক হাউজে ৩০টি পরিবার এবং আগিনাগাড়ি গ্রামে ২ দশমিক ৪১ একর জমির উপর নির্মিত ৩০টি ব্যারাক হাউজে ৩০টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। চামটা গ্রামে ৫ দশমিক ৬৪ একর জমির উপর ৭০টি ব্যারাক হাউজ নির্মন সম্পন্ন হয়েছে যেখানে উপকারভোগীদের মধ্যে বরাদ্দের প্রক্রিয় চলছে।
মহাদেবপুর উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হয়েছে মোট ৪টি। এদের মধ্যে বিলশিকারী গ্রামে ৭ একর জমির উপর নির্মিত ৫০টি ব্যারাক হাউজে ৫০টি পরিবার, বাগাচারা গ্রামে ১৩ দশমিক ৬৩ একর জমির উপর নির্মিত ৮০টি ব্যারাক হাউজে ৮০টি পরিবার, উথরইল গ্রামে ১ দশমিক ৮৭ একর জমির উপর নির্মিত ৩০টি ব্যারাক হাউজে ৩০টি পরিবার এবং চকহরিবল্লভ গ্রামে ৫ দশমিক ২০ একর জমির উপর নির্মিত ৬৫টি ব্যারাক হাউজে ৬৫টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে।
সাপাহার উপজেলায় জয়পুর গ্রামে ১ দশমিক ২০ একর জমির উপর নির্মিত ১৩টি ব্যারাক হাউজে ১৩টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
পেরাশা উপজেলায় গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হয়েছে ২টি। এর মধ্যে শুকলাহার গ্রামে ৯ দশমিক ২৩ একর জমির উপর নির্মিত ২৫টি ব্যারাক হাউজে ২৫টি পরিবার এবং পাথরডাঙ্গা গ্রৃামে ১ দশমিক ৯৮ একর জমির উপর নির্মিত ২৫টি ব্যারাক হাউজে ২৫টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে।
আশ্রয়ন প্রকল্প প্রথম ফেইজে নওগাঁ জেলায় ৬টি উপজেলায় ৮টি স্থানে ৪৫ দশমিক ৮৬ একর জমির উপর নির্মিত ৩৫টি ব্যারাক হাউজে মোট ৩৫০টি পরিবারকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সাপাহার উপজেলায় রামরামপুর মৌজায় ১৩ দশমিক ৬৫ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যরাক হাউজে ৭০টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে। রানীনগর উপজেলার পারইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩ দশমিক ২৫ একর জমির উপর নির্মিত ২টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার ও মধুপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ০৫ একর জমির উপর নির্মিত ২টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে। নিয়ামতপুর উপজেলায় গুড়িহারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮ দশমিক ৭৯ একর জমির উপর নির্মিত ১টি ব্যারাক হাউজে ১০টি পরিবার আশ্রয়লাভ করেছে। মান্দা উপজেলায় চকমনোহরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ৭৪ একর জমিসর উপর নির্মিত ২টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার ও কালিসফা আশ্রয়ন প্রকল্পে ৫ দশমিক ৭৪ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবারকে আশ্রয় প্রদান করা হয়েছে। ধামইরহাট উপজেলায় জগতনগর আশ্রয়ন প্রকল্পে ৮ দশমকি ৯৭ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে এবং পোরশা উপজেলায় ছয়ঘাটি-১ ও ছয়ঘাটি -২ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ দশমিক ৬৭ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবার আ¤্রয়লাভ করেছে।
অপরদিকে আশ্রয়ন প্রকল্প দ্বিতীয় ফেইজে নওগাঁ জেলার ৮টি উপজেলায় ৬৭ দশমিক ৪২ একর জমির উপর নির্মিত ১৭৮টি ব্যারাক হাউজে ১ হাজার ৭০টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ধামইরহাট উপজেলায় রসপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭ দশমিক ৩১ একর জমির উপর নির্মিত ১০টি ব্যারাক হাউজে ১০০টি পরিবার, বদলগাছি উপজেলায় পূর্ববনগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৪০ একর জমির উপর নির্মিত ৫৪টি ব্যারাক হাউজে ২৭০টি পরিবার, কিশামত পাঁচঘড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ দশমিক ১০ একর জমির উপর নির্মিত ১৪টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবার, মামুদ বিলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ দশমিক ৪০ একর জমির উপর নির্মিত ১৬টি ব্যারাক হাউওেজ ৮০টি পরিবার, নহেলা কাষ্টগাড়ি-১ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩ দশমিক ৮০ একর জমির উপর নির্মিত ১৯টি ব্যারাক হাউজে ৯৫টি পরিবার, নহেলা কাষ্টগাড়ি-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪ দশমিক ৫০ একর জমির উপর নির্মিত ১২টি ব্যারাক হাউজে ৬০টি পরিবার, পোরশা উপজেলার সড়াইগাছি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ৭৭ একর জমির উপর নির্মিত ১০টি ব্যারাক হাউজে ৫০টি পরিবার, মহাদেবপুর উপজেলার চকহরিবল্লভ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৯৩ একর জমির উপর নির্মিত ১৪টি ব্যারাক হাউজে ১৪০টি পরিবার ও রণাইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ১২ একর জমির উপর নির্মিত ৬টি ব্যারাক সহাউজে ৩০টি পরিবার, পতœীতলা উপজেলার বাকরইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৯ দশমিক ৮২ একর জমির উপর নির্মিত ১২টি ব্যারাক হাউজে ১২০টি পরিবার, নিয়ামতপুর উপজেলায় বেলগাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৯৯ একর জমির উপর নির্মিত ১১টি ব্যারাক হাউজে ৫৫টি পরিবার আশ্রয় লাব করেছে।
এ ছাড়াও আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ ফেইজের আওতায় ধামইরহাট উপজেলার পূর্ববনগ্রাম (সম্প্রসারণ) প্রকল্পে ৩ দশমিক ৪৩ একর জমির উপর, বদলগাছি উপজেলার নহিলা কাষ্টগাড়ি-৩ আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩ দশমিক ৮০ একর জমির উপর, রানীনগর উপজেলার বেলঘরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ৬৪ একর জমির উপর এবং আত্রাই উপজেলার নৈদিঘী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮ দশমিক ৪১ একর জমির উপর মোট ৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩২০/মহ/নূসী