বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক পাকিস্তানী সেনাদের অস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী ছিল : তাজুল

269

ঢাকা, ২৭ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার যে ডাক দিয়েছিলেন সেই ডাক পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মারনাস্ত্রের চেয়েও শক্তিশালী ছিল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকে। ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল।’
মন্ত্রী আরো বলেন, আর তখন পাকিস্তানের সেনাদের মতো বাঙ্গালিদের হাতে কামান, বন্দুক, গোলা-বারুদ কোন অস্ত্রই ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আহ্বান বাঙ্গালীদের কাছে হানাদার বাহিনীর অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল।
মো. তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে মুজিব জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকারে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা এবং করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি)’র মহাপরিচালক সালেহ মোহাম্মদ মোজাফফর।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে।
এছাড়াও, সেমিনারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও তার অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অনেকে হাসি-ঠাট্টা ও তিরস্কার করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখত।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোথাও মুক্তিযোদ্ধারা কথা বলতে পারত না। অনেক মুক্তিযোদ্ধা অত্যাচার ও নির্যাতনের জন্য আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা গর্ব করে নিজেদেরকে রাজাকার বলে পরিচয় দিত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে যারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে ও স্বাধীনতার প্রতি যাদের শ্রদ্ধা আছে তারা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করবেই। কারণ এত রক্তের বিনিময়ে বিশ্বের আর কোন দেশকেই স্বাধীনতা অর্জন করতে হয়নি।
তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহকে শুধু শক্তিশালী করলেই হবে না, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতাও বাড়াতে হবে। আর জনগণের অংশ গ্রহণ ছাড়া স্থানীয় সরকারকে কখনো শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। আর এটাই ছিল স্থানীয় সরকার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শন।