বাসস দেশ-৩৯ : থমথমে হাটহাজারী : এখনো রাস্তা ছাড়েনি হেফাজতের নেতাকর্মীরা

168

বাসস দেশ-৩৯
সড়ক-অবরোধ
থমথমে হাটহাজারী : এখনো রাস্তা ছাড়েনি হেফাজতের নেতাকর্মীরা
চট্টগ্রাম, ২৪ মার্চ ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে থমথমে ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে একধরনের আতঙ্ক অবস্থা। শুক্রবার দুপুর থেকে এখনো রাস্তা ছাড়েনি হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা। তারা সকলেই হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক। ইটের স্তুপ দিয়ে দেয়াল তৈরি করে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে তারা। এতে সড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে ওই সড়কে যাতায়তকারী হাজার হাজার মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে টহল দিতে দেখা যায়। অতিরিক্ত র‌্যাব, পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে বিজিবিও।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।
শনিবার সকাল থেকে হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে হেফাজতের কর্মীরা পুনরায় অবস্থান নেন। বিকেল ৪টায়ও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সড়কের ওপর থাকা ব্যারিকেড সরানো হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ি নুরুল ইসলাম জানান, হাটহাজারী মাদরাসার সামনের সড়ক সকাল থেকে আবারও অবরোধ করেছেন মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থানার সামনে অবস্থান করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-হাটহাজারী রেললাইনে গাছের গুড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার আড়াইটা থেকে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ পথটি বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর হেফাজত কর্মীদের হঠাৎ তান্ডবের পর থেকে সেখানে মানুষের মাঝে একধরণের আতঙ্কাবস্থা বিরাজ করছে। ফলে হাটহাজারী এলাকার প্রধান সড়কের প্রায় সব দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই খুলেনি পৌর সদরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও শপিং সেন্টার।
হাটহাজারী থানার এসআই কবির হোসেন জানান, হাটহাজারীতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
এদিকে ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার থেকে হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলা হলেও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। শনিবার সকাল থেকে উল্টো বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। মাদরাসা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেরারও আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তারা কর্ণপাত করছেনা। উল্টো নানা দাবি তুলে ধরা হচ্ছে ছাত্রদের পক্ষ থেকে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসাকে ঘিরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ দেখানো হয়। এসময় বিনা উসকানিতে থানা আক্রমণসহ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একপথচারীসহ চারজন নিহত হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। এর আগে ও পরে হাটহাজারী থানা, ভূমি অফিস, ডাক বাংলোসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা চালায় হেফাজত নেতাকর্মীরা।
বাসস/জিই/কেএস/১৯২৫/-কেকে