বাসস দেশ-৪৪ : সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকার আশা সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

287

বাসস দেশ-৪৪
খালিদ-প্রকল্প-বাস্তবায়ন-উদ্বোধন
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকার আশা সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৪ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা ও নিদর্শন। এসব ঐতিহ্যবাহী, নান্দনিক ও বৈচিত্র্যময় প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা তথা প্রতœস্থলসমূহের যুগোপযোগী ও আধুনিক সংস্কার, সংরক্ষণ ও ত্রিমাত্রিক স্থাপত্যিক ডকুমেন্টেশনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিকট হতে আর্থিক, কারিগরী ও বিশেষজ্ঞ সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
আজ সকালে রাজধানীর লালবাগ কেল্লায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থায়নে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘লালবাগ কেল্লার ঐতিহাসিক মোঘল হাম্মামখানার সংস্কার, সংরক্ষণ ও ত্রিমাত্রিক স্থাপত্যিক ডকুমেন্টেশন’ শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হল গবেষণা ও ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে হাম্মামখানা ভবনের পরিপূর্ণ সংস্থার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ইতোপূর্বে সনাক্তকৃত ক্ষতি প্রশমনের নিমিত্ত জরুরি কিছু সংস্কার-সংরক্ষণ কাজ সম্পাদন।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যে কাজগুলো সম্পাদন করা হবে তা হলো- হেরিটেজ ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট, ত্রিমাত্রিক স্থাপত্যিক ডকুমেন্টেশন, হাম্মামখানা ভবনের সংস্কার-সংরক্ষণ এবং বৈদ্যুতিক কাজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।
প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট হেরিটেজ স্পেশালিস্ট ও সংরক্ষণ স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আতাউর রহমান।
বাসস/সবি/কেসি/২০৩০/-এমএন