চট্টগ্রামে নতুন ২শ’ জন করোনা আক্রান্ত

177

চট্টগ্রাম, ২২ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরো ২শ’ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ২১ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৭৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২শ’ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৭১ জন ও ছয় উপজেলার ২৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ জন হাটহাজারীতে। এছাড়া, রাউজানে ৯ জন, ফটিকছড়ি ও আনোয়ারায় ৩ জন করে, মিরসরাইয়ে ২ জন এবং সীতাকু-ে ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৭ হাজার ৭৫১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৯ হাজার ৮৮১ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৮৭০ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৮৩ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৮১ জন ও গ্রামের ১০২ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬৪ জন। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৫১২ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৫৫৮ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ২৮ হাজার ৯৫৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৯ জন।
উল্লেখ্য, জেলায় গত পাঁচদিন করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে তিনদিন সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের বেশি ওঠেছে। ১৯ মার্চ ছিল ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ২০ মার্চ ১২ দশমিক ২০ শতাংশ, যা গত ৩ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। দেড় মাস আগেও সংক্রমণ হার ২ এর নিচে নেমেছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। সংখ্যা ও হারে ওইদিনই ছিল চট্টগ্রামে করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২ জনসহ ১৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৩২ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ জনসহ ১৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬৯টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩টিসহ ৪৯টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৩ জন ও গ্রামের ১৯ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২২টি নমুনার ৯টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ২২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ১টিসহ ৩৭টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩১টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১টির মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ৮ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৬২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ২৪ শতাংশ, চমেকে ৫ দশমিক ৪২, সিভাসু’তে ২৮ দশমিক ৯৯, চবিতে ২৫ দশমিক ৪০, আরটিআরএলে ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ, শেভরনে ১৬ দশমিক ৩৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৯ দশমিক ১০ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।