বাসস দেশ-৫১ : দেশীয় শিল্প বিকাশে সহযোগিতা করবে সরকার : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

93

বাসস দেশ-৫১
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী-অ্যাওয়ার্ড প্রদান
দেশীয় শিল্প বিকাশে সহযোগিতা করবে সরকার : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশি¬ষ্ট দেশীয় শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সহযোগিতা করবে সরকার। এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে অত্যন্ত আগ্রহী। এ শিল্প বিকাশে যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরীর শিল্প বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ কমে আসবে এবং ভোক্তারা কম মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম কিনতে পারবেন। একইসাথে এসকল পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের বৈপ্ল¬বিক পরিবর্তন সম্ভব হতো না। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকগণ যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেইজন্য ভ্রাম্যমান বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লে¬খ করে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে অন্ধকার থেকে গোটা জাতিকে আজকের জায়গায় নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের জীবনমান এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, কেউ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের অভাবে থাকতে হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তান, নেপাল এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষন নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। একজন ভালো ক্যাপ্টেনের কারণে হয়েছে’।
অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ৪জন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে ৪জন, বার্তা সংস্থা বা অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন ও পোল্ট্রি বা কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন অথবা অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৯৪০/কেএমকে