বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

112

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি- পানি দিবস
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২১ মার্চ ২০২১ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। আগামীকাল ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে তিনি আরো বলেন এর মাধ্যমে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম হবে, এটাই সবাইর প্রত্যাশা।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ভেল্যুয়িং ওয়টার’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জীবনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। পানি ব্যবস্থাপনার ওপর খাদ্য নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বাংলাদেশের কৃষি, বনজ, প্রাণী ও মৎস্য উন্নয়নে পানি প্রধান উপাদান। কৃষিসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির স্তর ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। ভূউপরিস্থ পানির অপ্রতুলতার কারণে ভূউপরিস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির সমন্বিত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ভূ-গর্ভস্থ পানির বিদ্যমান পরিস্থিতির যৌক্তিক উন্নয়ন এবং নিয়মিতভাবে ঘাটতি পূরণে ভূউপরিস্থ পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। নদী ও খাল পুনঃখননের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য প্রাকৃতিক জলাধারসমূহের রক্ষণাবেক্ষণসহ নতুন জলাধার ও অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সঠিক পানি ব্যবস্থাপনায় সরকারের এসব উন্নয়ন কার্যক্রম ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আবদুল হামিদ বলেন, পানির সাথে জলবায়ুর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। গৃহস্থালি, কল-কারখানা, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পানির ব্যবহারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনের অনিবার্য পরিণতি হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি এবং শুষ্ক মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে দেশের প্রাণীকূল ও জীববৈচিত্র তথা প্রকৃতি প্রতিনিয়তই হুমকির মুখে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান পানির চাহিদা যেন কোনোভাবেই পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত না করে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাসস/তবি/এমআর/১৯৪৫/-কেএমকে