নাগরিক সেবা পেলে জনগণ অবশ্যই কর পরিশোধ করবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

352

ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : নাগরিক সেবা নিশ্চিত করলে জনগণ কর পরিশোধে আরো বেশি আগ্রহী হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট অফ সিটি কর্পোরেশন’ (সি৪সি) প্রকল্পের ‘ বিয়ন্ড কোভিড-১৯ : সিটি কর্পোরেশন ( লোকাল গভ.) ফিসক্যাল স্পেস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো জনবান্ধব হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জনগণকে যদি সেবা নিশ্চিত করা হয়, তাহলে জনগণও কর পরিশোধ করবে।
সিটি কর্পোরেশনগুলোকে নিজস্ব অর্থায়ানে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নানামুখী কার্যক্রমের পাশাপাশি কর আদায়ে আরও বেশি ভূমিকা নেয়ার জন্য মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের জনগণের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে হবে।
তাজুল বলেন, জনগণ যখন বুঝতে পারে তারা ১ হাজার টাকা কর পরিশোধ করলে সরকার তাদেরকে ১০ হাজার টাকার সুযোগ সু্বধিা দেবে তখন জনগণ নিজ ইচ্ছায় কর পরিশোধ করবে ।
তিনি বলেন, কোনো জোর করার প্রয়োজন হবে না। জনগণকে আপনারা যে সেবা দিচ্ছেন বা দেবেন তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে। তবেই জনগণ সেবার বিনিময়ে কর পরিশোধ করবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মানুষ যখন জানবে যে তার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে রাস্তা করা হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হবে, ধূলাবালি থাকবে না, মশা থাকবে না, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হবে, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা নিশ্চিত করাসহ সব কিছুর ব্যবস্থা থাকবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে তখন জনগণ কর দিতে দায়বদ্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তান থেকেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ১৩ শত ডলার আর আমাদের দেশের ২১ শ’ ডলার। শুধু মাথাপিছু আয় নয় সকল খাতে আমরা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক উপরে আছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম থেকেই অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করে আসছেন। কোভিড টেস্ট করার জন্য শুরুতে দেশে মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব ছিলো। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একশ’র উপরে পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যেকটি জেলা এবং উপজেলায় আইসিইউ স্থাপন করেন। তাঁর একত্রিশ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করায় আমরা করোনা ভাইরাস সংকট অন্যান্য দেশ থেকে তুলনামূলকভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পে সহায়তাকারী উন্নয়নে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং দেশের ১২ টি সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।