প্রধানমন্ত্রী রোববার সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে যাত্রা করবেন

717

ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যে আট দিনের সরকারি সফরে রোববার ঢাকা ত্যাগ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটটি রোববার বিকেলে সৌদি আরবের দাম্মাম-এর উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
একই দিনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটা পাঁচ মিনিটে ফ্লাইটটির দাম্মাম বাদশা ফাহদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা।
শেখ হাসিনা ১৬ এপ্রিল সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় আল জুবাইল প্রদেশে অনুষ্ঠেয় ‘গাল্ফ শিল্ড-১ নামের একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
তিনি সৌদি বাদশাহ ও দু’টি পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো জোরদার করার লক্ষ্যে ২৩টি বন্ধুপ্রতীম দেশের অংশগ্রহণে মাসব্যাপী এই সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে।
গত ১৮ মার্চ শুরু হওয়া এই মহড়ায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।
গাল্ফ শিল্ড-১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) যোগদানের জন্য ১৬ এপ্রিল বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটযোগে লন্ডনের উদ্দেশে দাম্মাম ত্যাগ করবেন।
ঐদিন রাতেই লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা।
এ বছর সিএইচওজিএম-এর প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অভিন্ন ভবিষ্যত অভিগামী।’
প্রধানমন্ত্রী ১৭ এপ্রিল সকালে ওয়েস্ট মিনিস্টারের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার: মেকিং ইকুইটেবল এন্ড কোয়ালিটি প্রাইমারী এডুকেশন এন্ড সেকেন্ডারী এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস এক্রোস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন।

প্রধানমন্ত্রী বিকেলে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
তিনি ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি : নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কীপ গ্রোইং?’ রাউন্ডটেবিলে অংশ নেবেন।
বিকেলে তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও পরে নৈশভোজে যোগ দেবেন।
১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের (সিএইচওজিএম) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসির দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি সরকার প্রধান ও তাদের স্বামী/স্ত্রীদের সম্মানে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেয়া সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করবেন।
২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন।
২১ এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের জন্য সংবর্ধনা এবং রাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি ২৩ এপ্রিল দেশে ফিরবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে সংস্থাটির দেশসমূহের সরকার প্রধানদের নিকট রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় তুলে ধরবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় মাহমুদ আলী বলেন, কমনওয়েলথ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রশংসা করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। কফি আনান রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।