বঙ্গবন্ধুর দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা : স্পিকার

222

ঢাকা, ১৮ মার্চ ২০২১ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তরুণ নেতৃত্বকে ভবিষ্যৎ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি আজ এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনই ছিল শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল লক্ষ্য ছিল মানুষের প্রতি ভালবাসা। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু দূরদৃষ্টি ও গভীর প্রজ্ঞাসম্পন্ন সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। শোষণ-বৈষম্য-নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাংলার মানুষকে মুক্তি দেয়াই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। ১৯৭৪সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ স্থাপন ছিল তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অন্যতম পদক্ষেপ।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে সকল সূচক পূরণ করে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দেশ উন্নীত হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল, রেমিট্যান্স থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন,বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই ৭মার্চের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে যুদ্ধ জয় করে বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং অনন্য সংবিধান।
চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশালত্ব দিয়ে সকল নেতা-কর্মীকে ভালবাসতেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতেন। এরই ফলশ্রুতিতে তিনি মহান নেতা হয়ে উঠেছিলেন।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। এই বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান, সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কোন পদেই বাঙালিরা অধিষ্ঠিত হতে পারতেন না।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর চৌকষ নেতৃত্বে ভারতীয় মিত্রবাহিনী বাংলাদেশ থেকে ফেরত গেলে স্বাধীনতা আরো অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপসচিব এস এম মঞ্জুর কবিতা আবৃত্তি, পরিচালক তারিক মাহমুদ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থেকে পাঠ, উপপরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইন ‘কারাগারের রোজনামচা’ থেকে পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে উপসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার, সহকারী সচিব আসিফ হাসান, আবুল খায়ের উজ্জ্বল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।