বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই

526

ঢাকা, ১৬ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আর নেই। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা সামসুদ্দিন দিদার বাসসকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে ২৯ ডিসেম্বর মওদুদ আহমদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি সেখানে ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে চিকিৎসা নেন। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়। এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন। সেখানে দীর্ঘদিন আইসোলেশনে থেকে পরে এলিজাবেথে চিকিৎসা নেন। সঙ্গে তার স্ত্রী হাসনা মওদুদ রয়েছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাস করে ব্রিটেনের লন্ডনের লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশোনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন।
১৯৭৭ থেকে ৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। পরে তিনি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর এরশাদ সরকারের পতনের পর আবারও বিএনপিতে যোগ দেন। মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানকে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। এই দলের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। আবার তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টি গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।