বাসস দেশ-৫ : চট্টগ্রামে করোনা বাড়ছে

149

বাসস দেশ-৫
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে করোনা বাড়ছে
চট্টগ্রাম, ১৫ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এবার একদিনে দেড়শ’ ছাড়ালো। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ১৫৩ জন করোনা শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অবশ্য কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন শনাক্ত ১৫৩ জন জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৪০ জন ও সাত উপজেলার ১৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বোয়ালখালীতে ৪ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, হাটহাজারীতে ২ জন, ফটিকছড়ি, পটিয়া, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৮ হাজার ৮৩৯ জন এবং গ্রামের ৭ হাজার ৭১৭ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৮১ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৭৯ জন ও গ্রামের ১০২ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬২ জন। ফলে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৫১৩ জন। বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়েছেন ২৮ হাজার ৫৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৫ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৯৯১ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা সর্বশেষ দেড়শ’র বেশি শনাক্ত হয় ৩ জানুায়ারি। সে হিসেবে ৬৯ দিন পর শনাক্ত রোগী আবার একদিনে দেড়শ’র বেশি হলো। এদিন ১ হাজার ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৬৫ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। তবে জানুয়ারি মাসের ২০ দিন করোনায় আক্রান্ত একশ’র নিচে ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র দু’দিন একশ’ অতিক্রম করে। তবে মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে। গত ১৪ দিনের ৮ দিন শনাক্ত রোগী একশ’ ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া, ৬ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। একশ’র বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১ মার্চ ১০৯ জন, ৪ মার্চ ১০৭ জন, ৭ মার্চ ১১৪ জন, ৮ মার্চ ১২২ জন, ৯ মার্চ ১২৭ জন, ১০ মার্চ ১৩২ জন, ১১ ও ১২ মার্চ ১৩১ জন করে। চলতি মাসের সবচেয়ে কম সংক্রমণ ছিল ৬ মার্চ, ৬৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৭৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৩ জনসহ ২৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৫২ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৭ জনসহ ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২২ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৭টি নমুনায় গ্রামের ১টিসহ ৪টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে।
বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২টিসহ ২৯টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৩টি নমুনার মধ্যে ১৩টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মা ও শিশু হাসপাতালের ১৩ জনই শহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রামের ৬৮ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এতে সবগুলোর ফল নেগেটিভ আসে।
তবে, এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চমেকে ১২ দশমিক ৩৯, চবি’তে ১৭ দশমিক ৭৪, আরটিআরএলে ৫৭ দশমিক ১৪, শেভরনে ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/কেএস/১১৪৫/-আসাচৌ