বাসস দেশ-২৬ (প্রথম কিস্তি) : বাইডেনকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ নিউইয়র্ক টাইমসের

133

বাসস দেশ-২৬ (প্রথম কিস্তি)
বাংলাদেশ-মার্কিন-দারিদ্র-নিউইয়র্ক টাইমস
বাইডেনকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ নিউইয়র্ক টাইমসের
ঢাকা, ১২ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : নিউইয়র্ক টাইমসে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক কলামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডনকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের উদাহরণের দিকে তাকানোর পরামর্শ দিয়ে এটিকে একটি বিস্ময়কর সাফল্য বলে অভিহিত করেছে।
‘দারিদ্রের জন্য বাইডেনের পরিকল্পনা কী করতে পারে? বাংলাদেশের দিকে তাকান’ শিরোনামের কলামটিতে বলা হয়েছে, ‘পঞ্চাশ বছর পূর্তির মুহূর্তে দেশটির বিস্ময়কর সাফল্য সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর বিনিয়োগের শিক্ষা তুলে ধরে।’
দুবার পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত নিকোলাস ডোনাবেট ক্রিস্টফ যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় বুধবার বাইডেনের ১.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আমেরিকান পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রসঙ্গে বিশ্বের অন্যতম নামকরা সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত কলামে একথা লিখেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘এই (পরিকল্পনা) আমেরিকান নীতির একটি পুনর্মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে যে, সব সমাজেরই দরিদ্র শিশুদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের দায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে যে সুফল পাওয়া সম্ভব তা বোঝার জন্য সারা বিশ্ব থেকে শিক্ষা নেয়ার দিকে নজর দেয়া যাক।’
সিএনএন-এর নিয়মিত প্রদায়ক ক্রিস্টফ ২০০১ সাল থেকে নিউইয়র্ক টাইমসে কলাম লিখছেন। তিনি বলেন, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নৈতিক দাগ হলো ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী এবং শক্তিশালী দেশটি ব্যাপক শিশু দারিদ্রের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে।’
প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক বলেন, আমি ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড় কাভার করতে বাংলাদেশ সফর করেছিলাম। ওই ঘূর্ণিঝড়ে এক লাখেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। তখন টাইমসের জন্য আমি একটি নিবন্ধে লিখেছিলাম যে, ঐশ্বর্য্যময় দেশটি দুর্ভাগ্যের শিকার।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক হাজারেরও বেশি শব্দের কলামে ক্রিস্টফ বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যে, বাংলাদেশ কেবল জলবায়ু পরিবর্তন নয়, বরং অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তবে আমার সকল হতাশা নিরেট ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কারণ বাংলাদেশ তখন থেকে তিন দশকে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে এ মাসে গণহত্যা, দারিদ্র্য ও অনাহারের মাঝে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘একটি ‘বাস্কেট কেস’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ভয়ঙ্কর ছবি দেশের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘(তবে) বিশ্বব্যাংকের মতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অবিচ্ছিন্নভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বর্তমান মহামারীর আগে চার বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতি বছর ৭ থেকে ৮ শতাংশ বেড়েছে, যা চীনের চেয়েও দ্রুত।’
ক্রিস্টফ উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে গড় আয়ু ৭২ বছর, যা মিসিসিপি’র ১০টি কাউন্টিসহ যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি জায়গার চেয়ে বেশি।
কলামটিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ একসময় হতাশার উদাহরণ ছিল, তবে এখন কীভাবে অগ্রগতি অর্জন করতে হবে তা বিশ্বকে শেখানোর মতো অনেক কিছুই দেশটির আছে।’
চলবে/বাসস/এসএএস/অনুবাদ-এইচএন/২০১৫/-শআ