বাসস দেশ-৬২ : বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মশক নিধন কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র

348

বাসস দেশ-৬২
মশক-নিধন-কর্মী
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মশক নিধন কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করা হবে : ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশা নিধন কার্যক্রম সঠিকভাবে মনিটরিং করতে রমজানের পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মশক নিধন কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া একাজে আধুনিক ইন্টারনেট অব থিং (আইওটি) এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
আজ গুলশান বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাটে চলমান মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সোমবার শুরু হওয়া ডিএনসিসির অঞ্চল ভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) আজ চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত ছিলো।
আজ মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) এই অভিযান পরিচালিত হয়। গুদারাঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে মেয়র বনানী ১ নম্বর রোডে ন্যাম ভিলেজের পিছনে চেয়ারম্যান বাড়ি লেক পরিদর্শন করেন।
গুদারাঘাটে আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘লেকের কিনারে মশা ডিম পাড়ে। আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি লেকের কিনারে যাতে লার্ভিসাইড করা হয়। পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে সে পানিতে লার্ভা জন্ম হয় না। গুলশান, বারিধারা, বনানী, লেকে আগে প্রচুর কচুরিপানা ছিল, এগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এই লেকগুলো সিটি কর্পোরেশনকে দিয়ে দেয়ার জন্য আমরা বলেছি। এগুলো দিলে দেখভাল আমরা করতে পারি। লেকগুলোকে কচুরিপানামুক্ত দৃষ্টিনন্দন আমরাই করেছি। এখানে আবর্জনার পাহাড় ছিল।’
গুদারাঘাটে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র দেখতে পান যে, ফুটপাত দখল করে দুইটি হোটেল ব্যবসা করছে। ফুটপাত থেকে এসকল অবৈধ স্থাপনা তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বিকেলে গুলশান ৫৫ নম্বর সড়কে মশক নিধন অভিযান পরিদর্শন করেন। আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম গনি তাপস মেয়রের সাথে ছিলেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২১০৯/-এমএন