বাসস দেশ-৫৪ : ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনী মহড়ায় চিলাহাটি সীমান্ত ছুঁয়ে গেল ভারতীয় রেলইঞ্জিন

189

বাসস দেশ-৫৪
ঢাকা-শিলিগুড়ি-রেলইঞ্জিন
ঢাকা-শিলিগুড়ি ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনী মহড়ায় চিলাহাটি সীমান্ত ছুঁয়ে গেল ভারতীয় রেলইঞ্জিন
নীলফামারী, ১১ মার্চ ২০২১ (বাসস): জেলার চিলাহাটি সীমান্ত হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি-ঢাকা ট্রেন চলাচলের মাহেন্দ্রক্ষণ এগিয়ে আসছে।আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এ পথে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনের মহড়ায় আজ বৃহস্পতিবার চিলাহাটি সীমান্ত ছুঁয়ে ভারতীয় অংশে চলাচল করেছে একটি ইঞ্জিন।
ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে ছেড়ে দুপুর ১২টার দিকে ইঞ্জিনটি পৌঁছে ভারতের হলদিবাড়ী সীমান্তের শুণ্য রেখায়। ইঞ্জিনের চালক ও গার্ডসহ ছিলেন সাতসদস্যের প্রতিনিধিদল। সীমান্ত ছুঁয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে এনজেপির উদ্দেশ্যে ফিরে যায় ইঞ্জিনটি।
চিলাহাটি স্টেশনের সহকারী মাস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম ভারতের হলদিবাড়ি স্টেশন মাস্টার সত্যজিৎ তিওয়ারির বরাদ দিয়ে জানান, আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এ পথে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতির মহড়ায় ভারতের অংশে চলাচল করেছে ওই ইঞ্জিনটি। সীমান্ত ছুঁয়ে ইঞ্জিনটি ফিরে যায় এনজেপির উদ্দেশ্যে।এর আগে গত ৫ মার্চ তাদের অংশের সীমান্ত ছুঁয়ে ইঞ্জিন চলাচল করেছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ আমল থেকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দার্জিলিং থেকে বাংলাদেশের খুলনা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত এ পথে নিয়মিত একাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এ পথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এ রেলপথটি পুণরায় চালু করতে দুইদেশের প্রধানমন্ত্রীদের উদ্যোগে রেলপথ নির্মান পরবর্তী গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহি ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হয়। সেদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রেল চলাচল উদ্বোধন করেন। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এ পথে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের ঢাকা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী। এতে দীর্ঘ ৫৫ বছর পর এ রেলপথে দুইদেশের মধ্যে সরাসরি যাত্রী চলাচল শুরু হবে।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আশা করছি এ পথে আগামী স্বাধীনতা দিবসে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে। তারই ধারাবাহিকতায় ভারত তাদের সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালিয়েছে।’
চিলাহাটি রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহীম জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রেলপথটি চালু করতে বর্তমান সরকার ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহন করে। প্রকল্পটির মধ্যে ছিল চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অবকাঠামো নির্মাণ কাজ। ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেলস্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/২০২২/এমকে