এবার বইমেলার মূল থিম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

207

ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : বাংলা একাডেমির মেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জানিয়েছেন এবারের বই মেলার মূল থিম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
তিনি আজ বাসসকে বলেন, প্রতিবছর বইমেলার আগে স্টলের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারি করা হয়ে থাকে। এবার ৫২২ টি প্রকাশনী সংস্থা মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলায় ৮১৭ ইউনিট এবং ৩৩টি প্যাভেলিয়ন থাকছে। সরকার প্রণোদনা দেওয়ায় এবার স্টলের ভাড়া কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্তম্ভটাকে মাঝখানে রেখে দুইপাশে স্টলগুলো বিন্যাস করা হবে। এবার বইমেলায় ঝড় এবং বৃষ্টির আশংকা থাকায় মেলাপ্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪টি জরুরী আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে দর্শনার্থীদের মেলা প্রাঙ্গণে আসতে হবে। এজন্য স্টলগুলোতেও ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, মোট প্রবেশপথ ৪টি থাকলেও এবার প্রথমবারের মতো বিশেষভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউটের পাশে প্রবেশপথ থাকবে। এখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে।
নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিশন পুলিশ (ডিএপি) কমিশনারের সাথে এ সংক্রান্ত বৈঠক করা হয়।
প্রত্যেকটা প্রবেশপথে ছাউনি থাকবে। যাতে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা রোদ ও ঝড়বৃষ্টির মধ্যে কোন সমস্যায় না পড়েন। বাংলা একাডেমিতে যে আর্চারিগুলো রয়েছে তাও এর কাজে ব্যবহৃত হবে।
ড. জালাল আহ্মেদ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আমরা মনে করছি এবারের বইমেলা সুন্দর ও সফল হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইমেলার অনুমতি দিয়েছেন । তিনি মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন।’
বইমেলা ১৮ মার্চ শুরু হয়ে চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
তিনি বলেন, ‘তবে, করোনাভাইরাসের কারণে শিশুদের বিষয়ে ‘বেছে চলার নীতি’ নিচ্ছি। শিশুপ্রহর, শিশুদের নিয়ে যত আয়োজন তা এবার স্থগিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
সদস্য সচিব আরও জানান, মেলায় শিশুদের জন্য নজরদারি ব্যবস্থা থাকবে যেন তারা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে। এছাড়া, স্টলের ক্ষেত্রে ৮ ফুট প্রশস্ততার বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে যাতে দর্শনাথীরা নিরাপদ দূরত্বে থেকে বই দেখতে ও কিনতে পারে। এক স্টলের মধ্যে যদি তিনটা লাইন করা হতে পারে। প্রত্যেক স্টলে দর্শণার্থীদের ব্যবহারের জন্য সেনিটাইজার ও মাস্ক রাখতে হবে।
মেলা প্রাঙ্গণে ঢোকার ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ নীতি গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেকেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করে মেলায় প্রবেশ করবেন। করোনাভাইরাসের জন্য এবার স্টলগুলোর ভাড়া অর্ধেক করা হয়েছে। মেলা প্রতিদিন ৩ টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে। বন্ধের দিনে চলবে ১১টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।