পাকিস্তানের দোসরদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

331

ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসররা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণহত্যার স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর রয়েছে। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
কৃষিমন্ত্রী আজ সোমবার টাঙ্গাইলে বধ্যভূমি সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র টাঙ্গাইল’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায এ আহ্বান জানান।
ড. রাজ্জাক বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত ও অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। যারা পাকিস্তানের উচ্ছিষ্টভোগী, দোসর ও তাঁবেদার- যারা পাকিস্তানের ধারায় ধর্মকে ব্যবহার করে দেশ ও মানুষকে শোষণ করতে চেয়েছিল তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে।
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগিরা এ দেশে নারকীয় হত্যাকান্ড চালিয়েছে। তারা এসব হত্যাকান্ডের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তরুণ প্রজন্মের জন্য আমরা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম উল্লেখ করে রাজ্জাক বলেন, ‘তরুণদের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক হলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক। তিনি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক। সাত কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন। সাত কোটি নিরস্ত্র বাঙালিকে সংগঠিত করে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন’।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক। সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির, আতাউর রহমান খান, মো. হাছান ইমাম খাঁন, মো. ছানোয়ার হোসেন ও আহসানুল ইসলাম টিটু এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকালে কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত ফজলুর রহমান খান ফারুকের একুশে পদক প্রাপ্তিতে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করেন।
উল্লে¬খ্য, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন। এ উপলক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলার সম্মিলিত নাগরিক সমাজ তাঁকে গণসংবর্ধনা প্রদান করে।