বাসস দেশ-৫১ : চট্টগ্রামে হাসপাতাল বানাবে মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি

161

বাসস দেশ-৫১
সংবাদ-সম্মেলন
চট্টগ্রামে হাসপাতাল বানাবে মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি
চট্টগ্রাম, ৮ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : করোনাকালীন দাফন-সৎকার, অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবাসহ নানা মানবিক কাজ করে সাড়া জাগানো মানবিক সংগঠন গাউসিয়া কমিটি এবার সবার জন্য আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। চট্টগ্রামে এক একর জায়গায় ১৫০ শয্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। সংগঠনের অঙ্গসংগঠন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে এ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন। এ সময় গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও কাফন-দাফন সৎকার কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মহাসচিব শাহজাদ ইবনে দিদার, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, ‘করোনার সময় গাউসিয়া কমিটি বিভেদ ভুলে মানুষের পাশে ছিল। করোনার ভয়ে পিছু হটেছেন আপনজনরা। এমনকি লাশ দাফনেও অংশ নেয়নি অনেকে। কিন্তু ওই সময় মানবতার দূত হিসেবে উপস্থিত হয়েছিল গাউসিয়া কমিটি।’
তিনি জানান, গত এক বছর করোনাতে মারা যাওয়া ২ হাজার ৬০ জন ব্যক্তির গোসল, দাফন ও সৎকার করেছে গাউসিয়া কমিটির মানবিক কর্মীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১ হাজার ৬৬৭ জন, মুক্তিযোদ্ধা ৩৫ জন, হিন্দু ২৫ জন, বৌদ্ধ ৩ জন এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১২ জনের সৎকার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনার দুঃসময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন সেবাও দিয়েছে সংগঠনটি। একশ’র বেশি সিলিন্ডারে অক্সিজেন সেবা পেয়েছেন ১২ হাজার ৫৫০ জন। এছাড়া ২ হাজার ১০০ জনের বেশি রোগী পেয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্স সেবা। ১১ হাজার রোগীকে ওষুধ সামগ্রী ও এক লাখ পরিবারের কাছে পৌঁছানো হয়েছে খাদ্যসামগ্রী।
হাসপাতাল নির্মাণ বিষয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ বলেন, ‘যৌথ উদ্যোগে আমরা আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণ করতে চাই। সেজন্য জায়গা খুঁজছি। এক একর জায়গায় ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যেখানে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সেবা উন্মুক্ত থাকবে।
বাসস/জিই/কেএস/১৯১৫/-শআ