বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মর্মার্থ বিএনপির না বোঝাটাই স্বাভাবিক : প্রধানমন্ত্রী

165

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ-আলোচনা (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মর্মার্থ বিএনপির না বোঝাটাই স্বাভাবিক : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী সেদিনের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, তারা (তিনি এবং শেখ রেহানা) ৭ মার্চের ভাষণের সময় স্টেজের পাশেই ছিলেন এবং ভাষণ শেষে যাওয়ার সময় উৎফুল্ল জনতা ফুলার রোডে তাঁদের গাড়ি ঘিরে ধরে তাদের মুখে শ্লোগান ছিল ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন করো। মানুষ যেন (খুশীতে) খৈ-এর মত তখন ফুটছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য আর সেদিনের সেই ব্যক্তি বিশেষের উক্তি দেখে মনে হয়, তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কোন দালালী নিয়ে ছিল। যারা এখনও সেই দালালি ভুলতে পারেনি। সেইজন্যেই তারা ‘কিন্তু’ খোঁজে।
বিএনপি’র সেই ‘কিন্তু’ খোঁজা সম্পর্কে তিনি তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানের সার্বিক ভূমিকার উল্লেখ করে বলেন, ‘২৫ মার্চ চট্টগ্রামে যারা বেরিকেড দিচ্ছিল তাদের অনেককে জিয়াউর রহমান গুলি করে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, জিয়া ২৫ ও ২৬ মার্চ দুই দিনই হত্যাকা- চালায়। ২৭ তারিখ সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে গিয়েছিল জিয়া। সে যাতে অস্ত্র নামাতে না পারে, আমাদের স্বাধীনতাকামীরা তাকে আটকায়।’
চট্টগ্রামে সে সময় অবস্থানকারী যাদের অনেকেই এখনও দেশে-বিদেশে রয়েছেন তাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ তারিখ প্রথম প্রহরেই জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণা ইপিআরএর ওয়্যারলেস যোগে সারাদেশে প্রচার করা হয়।
পরে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করায় একজন সেনা কর্মকর্তা প্রয়োজন পড়ায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। যদিও মেজর রফিককে প্রথম অনুরোধ করা হয়েছিল তিনি অ্যামবুশ করে বসে থাকায় জিয়াকে দিয়েই ঘোষণা পত্র পাঠ করানো হয়। যা দিনভর সারাদেশে দলের নেতা-কর্মীরাই প্রচার করেছে।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, ‘সে (জিয়াউর রহমান) তো আগাগোড়া পাকিস্তানের দালালি করে আসছে। তার জন্মও সেখানে। লেখাপড়াও ওখানে। সে কবে বাংলাদেশের হলো? তিনি আরো বলেন, চাকরি সূত্রে বাংলাদেশে এসেছে। সে সূত্রে বিবাহ করে পরবর্তীতে থেকে যায়। এটাই তো বাস্তবতা। তারপরও যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে তাদেরকে সম্মান দেয়া হয়েছে। কিন্তু, এদের চরিত্র তো বদলায়নি। ঠিকই বেঈমানি-মুনাফেকি করেছে।
‘সে-ই এই হত্যাকা-ের (১৫ আগস্ট) মূলহোতা ছিল এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। যারা ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জড়িত, ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে, দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়, এ দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, তাদের তৈরি করা রাজনৈতিক দল থেকে বাংলাদেশের মানুষ কী আশা করবে?’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি, এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এটা তাদের একটুও পছন্দ না। তাদের কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু। বিলাসী জীবন কাটিয়েছে। এরা মানুষের কষ্ট বুঝবে কী করে?
তিনি বলেন, আমি আমাদের নেতাকর্মীদের বলবো, ওরা কি বললো, এটা নিয়ে কথা বলার দরকার নেই, চিন্তা করার দরকার নেই। এই করোনায় তারা কতো কথা বলেছে, কিন্তু টিকা তো তাদের নিতে হলো। আমি সরকারে আছি, পয়সা দিয়ে টিকা কিনে ফ্রি দিচ্ছি। বিনা পয়সার টিকা তো বিএনপি নেতারা নিয়েছে। এর আগে কী বলেছে? এজন্য তারা কী বললো তা দেখার দরকার নেই।’
বাসস/এএসজি-এফএন/২১০২/আরজি