চট্টগ্রামে করোনায় ১ জনের মৃত্যু

239

চট্টগ্রাম, ৮ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা আবারো একশ’ ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ সময় আক্রান্তদের একজনের মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ১১৪ জন পজিটিভের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৫ জন ও চার উপজেলার ৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ফটিকছড়িতে ৪ জন, রাউজানে ৩ জন, মিরসরাই ও আনোয়ারায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৫ হাজার ৬৬৬ জন। এর মধ্যে শহরের ২৮ হাজার ৬৩ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৬০৩ জন।
গতকাল করোনায় এক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭৮ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৭৭ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৮ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৬১৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৪৬৭ জন ও বাসা থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ২৮ হাজার ১৫০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৪৩ জন।
উল্লেখ্য, গতকালসহ চলতি মাসের সাত দিনে তিন দিন শনাক্ত রোগীর একশ’ ছাড়িয়েছে। ১ মার্চ ১ হাজার ৮২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১০৯ জনের শরীরে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ৪ মার্চ ১ হাজার ৯৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ মাসে সবচেয়ে কম সংক্রমণ ছিল ৬ মার্চ। এদিন ১ হাজার ৬০৭ জনের নমুনায় ৬৩ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ সময়ে একজনের মৃত্যু হয়। অথচ, গত জানুয়ারি মাসে ২০ দিন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৬ দিন আক্রান্তের সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও ফেব্রুয়ারি মাসে। ৬ ফেব্রুয়ারি সংখ্যা ও হারে চট্টগ্রামে সর্বনি¤œ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৮৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩৭৩ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজনসহ ৩৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮ জন ও গ্রামের ৭ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১০টি নমুনার ৭টির পজিটিভ আসে। সবক’টিরই বাহক নগরীর বাসিন্দা।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১১৭ নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিসহ ১৭টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৭টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫টির মধ্যে শহরের ৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ১০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আাসে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ১১, চবি’তে ১৩ দশমিক ৬২, চবিতে ২৫ শতাংশ, আরটিআরএলে ৭০ শতাংশ, শেভরনে ১৪ দশমিক ৫৩, ইম্পেরিয়ালে ১৪ দশমিক ৭৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।