বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

298

ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এমন জায়গায় নিয়ে যেতে, যা দু’দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পুরানো সব সমস্যার সমাধানের বিষয়ে যেমন আশাবাদী, এর পাশাপাশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশেরই যে প্রবল সদিচ্ছা রয়েছে, তাতে মনে করি বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।’
রোববার সচিবালয়ে ঢাকা সফররত ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব অনুপ অটহানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইসামী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. মহিদুল ইসলাম, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ভারতীয় হাইকমিশনের কমর্শিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ প্রামাউস বাসাল উপস্থিত ছিলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাটসহ যেসব পণ্যে ভারত এন্টি ডাম্পিং ডিউটি দিয়ে রেখেছে, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
তিনি জানান,ভারতের বাণিজ্য সচিব বাংলাদেশের শুল্ক ব্যবস্থাপনা ও বেনাপোল বন্দর আধুনিকায়নের অনুরোধ করেছে। এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি বলে জানিয়েছি।
টিপু মুনশি বলেন, চলমান সীমান্ত বর্ডারহাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। তাই মিজোরাম সীমান্তে সীমান্ত-হাট বসানোসহ এই হাটের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির করতে চায়। বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও মটরযান নির্মাণ শিল্পে সে দেশের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে আগ্রহী।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তোরণের পর বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্চ আসবে, সেসব মোকাবেলায় আমরা বিভিন্ন দেশের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর করব। পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন নতুন বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টি করা যাবে। তাই আশা করি এলডিসি উত্তোরণের পর আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়বো না।
তিনি আরও জানান, বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য ভারতের সাথে বাংলাদেশ কমপ্রিহেনসিপ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষরের চেষ্টা করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত সৃষ্টির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে প্রয়োজনে দ্বিগুণ পণ্য সরবরাহ করা হবে। ফলে রমজান মাসে কোন পণ্যের ঘাটতি হবে না, মূল্যও বৃদ্ধি পাবে না।