ফেনীতে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করছে বিশেষজ্ঞ দল

188

ফেনী, ৬ মার্চ ২০২১ (বাসস) : জেলা শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে অবস্থিত আবাসিক ভবনে শুক্রবার রাতের বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করছে বিশেষজ্ঞ দল।
আজ শনিবার দুপুরে জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে গ্যাস লিকেজের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।তাদের ধারণা, লিকেজের কারণে পুরো বাসায় গ্যাস ছড়িয়ে গিয়েছিল। মশা মারতে গিয়ে ইলেকট্রিক ব্যাটের সুইচ চাপতে মুহুর্তেই এ বিস্ফোরণ ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী জানান, বোমা বিস্ফোরণের কোন আলামত ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। বোমা নিষ্ক্রিয় দলের প্রাথমিক ধারণা গ্যাসের লিকেজ থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ মোদাসের কায়সারের নেতৃত্বে শনিবার সকালে চার সদস্যের তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস, পিবিআই ও সিআইডির সদস্যরা কাজ করছেন।
সংবাদ সম্শেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. মাঈনুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ মোদাসের কায়সার ও ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকের হোসেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের দুলামিয়া বাইলেনের শফিক ম্যানশনের পঞ্চমতলায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। বাসাটি পুরো লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণে ওই ভবনের তৃতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ তলারও বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই বাসায় থাকা মা ও তার দুইমেয়ে আগুনে ঝলসে যান।তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, আগুনে মেহেরুন্নেছার (৩৮) শরীরের ৪৬ শতাংশ ও তার মেয়ে হাফসার (১৫) শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। দু’জনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও জানান, আহত মেহেরুন্নেছার বড় মেয়ে ফারাহ ইসলামের (১৮) হাতে ২ থেকে ৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।