বাসস রাষ্ট্রপতি-২ : ত্যাগের শিক্ষা প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য : রাষ্ট্রপতি

352

বাসস রাষ্ট্রপতি-২
রাষ্ট্রপতি-বাণী

(আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না)

ত্যাগের শিক্ষা প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে ত্যাগের শিক্ষা প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য। তিনি বলেন, ‘কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাই-বোনদের জানান ঈদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
পবিত্র ঈদুল আজহা আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর-এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ধর্মীয় এ উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল¬াহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)’কে কুরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্ল¬াহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। কারন আজহার অর্থ কুরবানি বা উৎসর্গ করা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কুরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি জাঁকজমকের সাথে পালন করে আসছে। এটা আমাদের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে তা কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে স্বার্থান্বেষী মহল যাতে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ- মহান আল্লাহর কাছে এই আমার প্রার্থনা।’
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৯২০/-কেএমকে