বাসস ক্রীড়া-৮ : রিয়ালে থেকেই অবসরে যেতে চান ক্রুস

106

বাসস ক্রীড়া-৮
ফুটবল-ক্রুস
রিয়ালে থেকেই অবসরে যেতে চান ক্রুস
মাদ্রিদ, ৬ মার্চ ২০২১ (বাসস) : গত সোমবার লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদের তারকা মিডফিল্ডার টনি ক্রুস কোন জার্মান খেলোয়াড় হিসেবে মাদ্রিদের জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জণ করেছেন। গ্যালাকটিকোদের হয়ে ৩০৯ ম্যাচ খেলে ক্রুস ১৯৭৭-১৯৮৫ পর্যন্ত খেলা পশ্চিম জার্মানীর সাবেক মিডফিল্ডার উলি স্টেইলাইককে ছাড়িয়ে গেছেন।
এই কৃতিত্ব অর্জনের পর নিজেকে কিভাবে আরো পরিনত করতে চান কিংবা ছাড়িয়ে যেতে চান এই প্রশ্নের উত্তরে রিয়াল মাদ্রিদ টিভিতে ক্রুস বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আমি সেরাটা দেবার চেষ্টা করি। সতীর্থদের উদ্দেশ্যে যে পাসগুলো আমি দেই সেগুলো যদি তাদের কাছে না পৌঁছায় তবে বিষয়টি আমাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে। এক্ষেত্রে আমি শতভাগ নিখুঁত হতে চাই এবং সবসময় সেই চেষ্টাই করি। যদিও কেউই শতভাগ নিখুঁত কোনদিন হতে পারবে না। তবে আমি এটি নিয়ে অনুশীলণ করি, বেশ কয়েক বছর যাবতই আমি এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সাবেক কিংবদন্তী স্টেইলাইককে ছাড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ক্রুস বলেছেন, ‘এটা সত্যিই বিশেষ কিছ। এখানে খেলতে আসা সব জার্মানরাই তারকা ছিলেন। গুন্টার নেটজার, বার্নাড শুস্টার কিংবা স্টেইলাইক প্রত্যেকেই যোগ্যতা দিয়েই নিজেদের প্রমান করেছেন। স্টেইলাইককে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে সত্যিই খুশী করেছে। এটা একটি বিশেষ রেকর্ড এবং এটা অর্জণ করতে পেরে আমি দারুন আনন্দিত। আমি সবসময়ই বলেছি আমার পরিকল্পনা হচ্ছে এই ক্লাবে থেকেই অবসরে যাওয়া। এই লক্ষ্যপূরণে আমি কাজ করে যাচ্ছি।’
সাক্ষাতকারের এক পর্যায়ে ৩১ বছর বয়সী ক্রুস রিয়াল মাদ্রিদের ক্যারিয়ার শুরুর বিষয়টি নিয়েই কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে ক্রুস বলেন, ‘২০১৪ সালের গ্রীষ্মে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন হবার পর আমি রিয়ালে যোগ দিয়েছিলাম। সেভিয়ার বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপে আমার অভিষেক হয়েছিল। এটাই আমার প্রথম ম্যাচ ও প্রথম শিরোপা ছিল। বিষয়টি মোটেই স্বাভাবিক নয়। রিয়াল মাদ্রিদের মত একটি ক্লাবের হয়ে এভাবে অভিষেক হওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।’
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এ পর্যন্ত ১৩টি শিরোপা জয় করেছেন ক্রুস। এর মধ্যে ফেবারিট শিরোপা হিসেবে জার্মান এই মিডফিল্ডার ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটিকেই এগিয়ে রেখেছেন। ক্রুস বলেন, ‘কেউ যদি শুধুমাত্র একটি শিরোপা জয় করে তবে বাছাই করাটা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এতগুলোর মধ্যে কোন একটি বেছে নেয়া কঠিন। তবে কিয়েভে জয় করা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাটিকে আমি এগিয়ে রাখবো। কারন ঐ একটি শিরোপার আনন্দ আমি পুরো পরিবার নিয়ে উদযাপন করেছিলাম। কার্ডিফে শুধুমাত্র আমার ছেলে ছিল, ঐ সময় মেয়েটা খুব ছোট ছিল।’
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে ক্রুস ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কর্ণার থেকে সরাসরি গোলের স্মৃতিটিকে উল্লেখ করেছেন। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক অফলাইনে থাকায় সতীর্থদের তিনি বিষয়টি বলেছিলেন। সময়মত সুযোগটি কাজে লাগাতে পারাটাকে তিনি সৌভাগ্য হিসেবেই মনে করেন। এই ধরনের গোল করা মোটেই সহজ নয়।
বাসস/নীহা/১৪৩৫/স্বব