বাসস দেশ-৪ : চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত একশ’র বেশি

129

বাসস দেশ-৪
চট্টগ্রাম-করোনা-সংক্রমণ
চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত একশ’র বেশি
চট্টগ্রাম, ৫ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে নতুন ১০৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ নিয়ে এ মাসে গত চার দিনের মধ্যে দু’দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র বেশি পাওয়া গেল। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ৯৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৭ জন এবং পাঁচ উপজেলার ১০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫ জন,সীতাকু-ে ২ জন এবং ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭ হাজার ৮২২ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৫৭৫ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় কোনো রোগী মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৭৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ২৭৫ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭০ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৩২ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৪ হাজার ৪৫০ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে ২৭ হাজার ৯৯৫ জন। হোম আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৫ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৯৬৮ জন।
উল্লেখ্য, গতকালসহ চলতি মাসের চার দিনে দু’দিন শনাক্ত রোগীর একশ’ ছাড়িয়েছে। ১ মার্চ ১০৯ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ২ ও ৩ মার্চ যথাক্রমে ৮৫ ও ৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। অথচ, গত জানুয়ারি মাসে ২০ দিন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ২৬ দিন আক্রান্তের সংখ্যা একশ’র নিচে ছিল। জানুয়ারি মাসের শেষ ১৯ দিন কম থাকার পর ১ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা একশ’ অতিক্রম করে। এদিন ১ হাজার ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৮ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। মাঝের ২৬ দিন পর ২৮ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার শতক ছাড়িয়ে যায়। ১১৩ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন এবং মৃত্যু হয় ২ করোনা রোগীর। সংক্রমণ হার ৮ দশমিক ০২ শতাংশ। করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ডটিও ফেব্রুয়ারি মাসে। ৬ ফেব্রুয়ারি সংখ্যা ও হারে চট্টগ্রামে সর্বনি¤œ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের বাসিন্দা ১১ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৭৭ জনের নমুনায় ১ জন গ্রামেরসহ ৩২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬১টি নমুনার গ্রামের ২টিসহ ৬টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৭ জনের মধ্যে গ্রামের ৫ জনসহ ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ জনসহ ২৯ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৭ জনের নমুনায় নগরীর ১২ জন এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ নমুনায় শহরের ৬ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এদিন চট্টগ্রামের ২১টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টিরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৪৯, চমেকে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ৮৩, চবি’তে ২৩ দশমিক ৪০, শেভরনে ৭ দশমিক ৪৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২১ দশমিক ০৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪০ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১১০০/-আসাচৌ