ম্যাককিনিকে স্থায়ীভাবে দলে নিল জুভেন্টাস

234

তুরিন, ৪ মার্চ ২০২১ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ মিডফিল্ডার ওয়েস্টন ম্যাককিনিকে শালকে থেকে স্থায়ীভাবে দলে ভিড়িয়েছে ইতালিয়ান সিরি-এ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস।
২২ বছর বয়সী ম্যাককিনি গত বছর সেপ্টেম্বরে শালকে থেকে ধারে তুরিনের জায়ান্ট দলটিতে খেলতে এসেছিলেন। ঐ সময় ১৮.৫ মিলিয়ন স্থায়ী চুক্তিতে এই মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়ানোর শর্ত চুক্তিতে লেখা ছিল।
বুধবার স্থায়ী ট্রান্সফারের বিষয়টি উভয় ক্লাবের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। চার বছরের চুক্তিতে ম্যাককিনি জুভেন্টাসের সাথে চুক্তি করেছেন। অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ম্যাককিনি জুভেন্টাসের সাথেই থাকবেন।
এবারের মৌসুমে ইতোমধ্যেই তুরিনের ক্লাবটির হয়ে ম্যাককিনি নিজেকে প্রমান করেছেন। সিরি-এ লিগে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচে চারটি গোল করা ছাড়াও দুটিতে এসিস্ট করেছেন। এছাড়া জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কোপা ইতালিয়াতে খেলেছেন। ডিসেম্বরে ক্যাম্প ন্যু’তে বার্সেলোনার বিপক্ষে জুভেন্টাসের ৩-০ গোলের স্মরণীয় জয়ের ম্যাচটিতে ম্যাককিনি এক গোল করেছিলেন।
শালকে থেকে ধারে খেলতে আসার পর তিনি জুভেন্টাসের মধ্যমাঠে নিজেকে অপরিহার্য্য প্রমান করেছেন। অথচ গত গ্রীষ্মে তাকে দলে পেতে আরো বেশ কয়েকটি শীর্ষ ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। যার মধ্যে সাউদাম্পটন, লিস্টার সিটি ও লিভারপুল অন্যতম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডারকে দলে ভেড়াতে সক্ষম হয় সিরি-এ চ্যাম্পিয়নরা।
সিরি-এ টেবিলের শীর্ষে থাকা ইন্টার মিলানের থেকে সাত পয়েন্ট পিছিয়ে জুভেন্টাস বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আগামী শনিবার ল্যাজিওর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে তুরিনের জায়ান্টরা।
ক্লাব ফুটবল ছাড়াও জাতীয় দলেও যুক্তরাষ্ট্রের কোচ গ্রেগ বারহল্টারকে মুগ্ধ করেছেন ম্যাককিনি। জানুয়ারিতে জাতীয় দলের এই কোচ ম্যাককিনি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি জানি সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। তার স্টাইল ও স্পিরিট দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত জুভেন্টাসের মত শীর্ষ দলের জন্য সে অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারবে। এখনো তার উন্নতির অনেক জায়গা আছে। তার বয়স কম, সে কারনেই আমি নিশ্চিত জুভেন্টাসে তার ভবিষ্যত উজ্জ্বল। ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর মত একজন বিশ^মানের খেলোয়াড়ের সাথে যখন প্রতিদিন খেলার সুযোগ আসবে তখন নিজেকে উন্নত করার চেস্টা প্রতিটি খেলোয়াড়ের মধ্যেই আসবে। আমি তাকে নিয়ে দারুন খুশী ও একইসাথে আশাবাদী।’