২১ আগস্ট ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৪তম বার্ষিকী কাল : সেপ্টেম্বরে রায়

263

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : জাতি আগামীকাল শ্রদ্ধাবনতচিত্তে ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৪তম বার্ষিকী পালন করবে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এইদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
এদিকে ২১ আগস্ট উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হত্যা মামলার বিচারিক আদলতের রায় দেওয়া সম্ভব হবে। রায়টি হলে দেশ আরো একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচার’ দাবিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে ১৮ জন পলাতক। এ মামলায় আদালতে ২২৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে অভিযুক্ত আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ আদালতে চলা মামলায় এখন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের যুক্তিতর্ক চলছে, এই মাসেই তার যুক্তিতর্ক শেষ হবে। এরপরই তা রায়ের জন্য রাখা হবে। এ হামলায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার আইনি এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি পৃথক মামলায় আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান আজ বাসসকে বলেন, ‘‘ওই হামলার উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা। হামলার আগে ঢাকায় ১০টি বৈঠক হয়। ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকগুলো তারেক রহমান ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুজাহিদ, আব্দুস সালাম পিন্টু, হারিস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন৷ টাকা এবং গ্রেনেড আসে পাকিস্তান থেকে। পকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন-এর আব্দুল মাজেদ বাট এই কাজে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশে হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ-এর সদস্যরা।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া সেই সময়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের কয়েকজন এই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। তারা মামলার আলামত নষ্ট, মামলা না নেয়া এবং হামলার গেয়েন্দা তথ্য থাকার পরও শেখ হাসনার নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি মামলাটির তদন্ত তারা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল।’ তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামী বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
মামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ আসামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক পেশ শেষ হয়েছে।
আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইরজীবীদের ‘ল’ পয়েন্টে উত্তর ও যুক্তিতর্ক খন্ডন শেষে মামলার রায় ও আদেশের দিন ধার্য করবেন আদালত।
প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ২১ আগস্টের ঘটনায় পৃথক মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫২ জন। এর মধ্যে ৩ জন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এই ৩ আসামি হলেন- জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল।
এখন ৪৯ আসামির বিচার চলছে। এরমধ্যে এখনো তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, সাবেক তিন আইজিপি ও পকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা আব্দুল মাজেদ বাটসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে ও ৮ জন জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, গত বছরের এ সময় আমাদের প্রত্যাশা ছিল, চলতি বছরের ১৮ আগস্টের মধ্যে এ মামলার রায় হবে। আমরা চেষ্টাও করেছি। কিন্তু আসামী পক্ষের আইজীবীদের অপ্রয়োজনীয় জেরা ও কিছু অপ্রযোজনীয় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কারনে কালক্ষেপণ হয়েছে। তারপরও মামলা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনাপ জামায়াত সরকারের আমলে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা করে এবং জজ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে সাজানো জবানবন্দি দিতে বাধ্য করার মাধ্যমে মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলাটির নতুন করে তদন্ত শুরু হলে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সম্পূরক চার্জশিটে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ষড়ন্ত্রকারী হিসেবে আরো অনেকের নাম আসে। মামলায় মোট আসামি হয় ৪৯ জন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে তাদের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি। তাই ৪৯ জন আসামিরই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দাবি করেছি।
মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কৌসুলি এডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল আজ বাসসকে বলেছেন , ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে। দীর্ঘ প্রত্যাশিত এই মামলার রায় চলতি বছরের মধ্যেই হবে বলে তিনি আশাবাদী। এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলার পৃথক চার্জশিটে মোট ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে উল্লেখ করে এডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে ১৮ জন এখনো পলাতক রয়েছে।
এ নারকীয় হত্যাকান্ডের পর ২১ আগস্ট দিনটিকে ২০০৪ সালের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণ গ্রেনেড হামলা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে থাকে। প্রতিবারের মত এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিবসটি স্মরণে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আগামী ২১ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বেদীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
এই হামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতা সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও অপর ২৪ জন নিহত হন।
একুশে আগস্টের সমাবেশে বিকেলে যখন শেখ হাসিনা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন আকস্মিক এই হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্ল¬ুর রহমানের সহধর্মিনী ও আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত হন।
এছাড়াও এই হামলায় আরো ৫শ’ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আকস্মিক গ্রেনেড বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারাত্মক বিশৃংখলা, ভয়াবহ মৃত্যু ও দিনের আলো মুছে গিয়ে এক ধোয়াচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই সিরিজ গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও তৎকালিন ঢাকা’র মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষীসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষণিকভাবে এক মানব বলয় তৈরি করে নিজেরা আঘাত সহ্য করে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন।
মেয়র হা্িনফের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত অস্ত্রোপাচার করার কথা থাকলেও গ্রেনেডের স্পি¬ন্টার শরীরে থাকার কারণে তার অস্ত্রোপাচার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি ব্যাংকক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে শেখ হাসিনা গ্রেনেডের আঘাত থেকে বেঁচে গেলেও তাঁর শ্রবণ শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।
এই বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় নিহতরা হলেন, আইভি রহমান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব:) মাহবুবুর রশীদ, আবুল কালাম আজাদ, রেজিনা বেগম, নাসির উদ্দিন সরদার, আতিক সরকার, আবদুল কুদ্দুস পাটোয়ারি, আমিনুল ইসলাম মোয়াজ্ঝেম, বেলাল হোসেন, মামুন মৃধা, রতন শিকদার, লিটন মুনশী, হাসিনা মমতাজ রিনা, সুফিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা). মোশতাক আহমেদ সেন্টু, মোহাম্মদ হানিফ, আবুল কাশেম, জাহেদ আলী, মোমেন আলী, এম শামসুদ্দিন এবং ইসাহাক মিয়া।
মারাত্মক আহতরা হলেন : শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, এডভোকেট সাহারা খাতুন, মোহাম্মদ হানিফ, এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা আখতার, এডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দিপ্তী, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন এবং মামুন মলি¬ক।
অভিযোগ আছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের এই হত্যাকান্ডের প্রতিকারের ব্যাপারে তৎকালীন বিএনপি সরকার নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছিল। শুধু তাই নয় এ হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের রক্ষা করতে সরকারের কর্মকর্তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গ্রেনেড ধ্বংস করে দিয়ে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল।
হামলার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং এতে জজ মিয়া নামে এক ভবঘুরে, একজন ছাত্র, একজন আওয়ামী লীগের কর্মীসহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অথচ পরবর্তী তদন্তে তাদের কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
পলাতক আসামিদের মধ্যে তারেক রহমান লন্ডনে, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ সৌদি আরবে , হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক হানিফ কলকাতায়, ব্রিগেডিয়রি জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আমেরিকায়, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার কানাডায়, বাবু ওরফে রাতুল বাবু ভারতে, আনিসুল মোর্সালীন এবং তার ভাই মুহিবুল মুক্তাকীন ভারতের কারাগারে এবং মাওলানা তাজুল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে।
জঙ্গি নেতা শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবু বকর, ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর, মাওলানা লিটন ওরফে জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (পূর্ব) এবং উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) ওবায়দুর রহমান এবং খান সাঈদ হাসান বিদেশে অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে উল্লেখ করে সূত্র জানায়, তাদের বেশির ভাগই পাকিস্তানে রয়েছে।
তবে অপর অভিযুক্ত পলাতক আসামি হারিস চৌধুরীর অবস্থান জানা যায়নি। পলাতকদের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন ও বাবু ওরফে রাতুল বাবু এরা দু’জন বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই। পিন্টুও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় অভিযুক্ত।