বাসস দেশ-১৭
আম গাছ
মেহেরপুরে আম গাছগুলো গুটিতে ভরে গেছে
॥ দিলরুবা খাতুন ॥
মেহেরপুর, ৪ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : মুজিবনগর আ¤্রকাননসহ জেলার আম বাগানে আগাম আসা মুকুলে আমের গুটি এসেছে। অপরদিকে ২য় পর্যায়ে আসা মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে গাছ এবং তৃতীয় পর্যায়ে মুকুল গজানো শুরু হয়ে গেছে। কিছু কিছু গাছে আমের গুটি এবং মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আম বাগানগুলো। একইসঙ্গে বেড়েছে আম চাষিদের ব্যস্ততা। এটি মেহেরপুরের মুজিবনগর আ¤্রকাননসহ জেলার আম বাগানগুলোর সাধারণ দৃশ্য।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগাম মুকুলে গুটি এসেছে। যেসব গাছে মুকুল আসেনি সেসব গাছে চলতি মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটে যাবে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও আম চাষি।।
কৃষি বিভাগ আরো জানায়, স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আমের নাম রয়েছে । মেহেরপুরের আম সুস্বাদু হওয়ায় এ জেলার আমের চাহিদা দেশের সব জেলা ছাড়িয়ে ইউরোপ মহাদেশেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগরে বৃটিশ শাসনামলে তৈরী মুজিবনগর আ¤্রকাননে ১২শ’ আমগাছ আছে। ওই বাগানে ১২শ’ আমগাছ ১২শ’ জাতের। মেহেরপুর জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে তৈরী করা হচ্ছে আমের বাগান।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের আমচাষি জাহিদুল হাসান জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও এবার অনেক আমগাছে আগাম মুকুল আসে এবং সেইসব গাছে গুটিতে ভরে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাগানে আমের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানে নিয়মিত যতœ নিলে অফ ইয়ার বলে কিছু থাকে না। প্রতি বছরই গাছে আম আসবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ জানান, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। প্রথম পর্যায়ের মুকুলে আমের গুটি এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব গাছে আমের গুটিতে ভরে যাবে। জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, লেংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন বাগানগুলো তৈরী হচ্ছে বনেদি ও হাইব্রিট জাতের।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১২০৫/নূসী