বাসস দেশ-১৬ : বরিশালে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু ঘটনা বিচারিক তদন্তের নির্দেশ

90

বাসস দেশ-১৬
হাইকোর্ট-আদেশ
বরিশালে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যু ঘটনা বিচারিক তদন্তের নির্দেশ
ঢাকা, ৩ মার্চ ২০২১ (বাসস): বরিশালে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের হাতে আটকের তিনদিন শিক্ষানবিশ আইনজীবী রেজাউল করিমের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনা বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রেজাউল করিমের বাবার আনা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বরিশাল আদালত এ ঘটনা পুলিশকে (পিবিআই) তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ হাইকোর্ট বিভাগ সেটি বদল করে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ ঘটনার বিচারিক তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এখন পুলিশের বদলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে।
গত ৫ জানুয়ারি রেজাউল করিম পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে ডিবি উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। বরিশাল মহানগর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন রেজাউল করিমের বাবা ইউনুস মুনশি। অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বরিশাল নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হামিদ খান সড়কের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে রেজাউল করিমকে আটক করেন এসআই মহিউদ্দিন আহমেদ। এরপর রেজাউলের কাছে দু’জন মাদক ব্যবসায়ীর নাম জানতে চান ওই এসআই । কিন্তু রেজাউল নাম জানেন না বলে জানালে তাকে ধরে নিয়ে যান। রেজাউলের পকেটে নেশাজাতীয় ইনজেকশন পাওয়া গেছে, এ অভিযোগে তাকে আটক দেখানো হয়। এরপর রেজাউলের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে আহত রেজাউলকে থানার মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১ জানুয়ারি বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ জানুয়ারি রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
থানায় মামলা না নেয়ায় আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
আদালত মামলার বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। এ অবস্থায় বিচারিক তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন রেজাউলের বাবা।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর তদন্তের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে পুলিশকে। তাই বাদীর ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে এ আবেদন করা হয়েছে।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫৪৫/-কেকে