দেশীয় শিল্প বিকাশে এনবিআরের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে

307

ঢাকা, ১ মার্চ, ২০২১ (বাসস) : দেশীয় শিল্প বিকাশের স্বার্থে কাঁচামাল আমদানি থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সহায়তা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণ করা এনবিআরের অন্যতম লক্ষ্য। এজন্য আমরা যেখানেই খুঁজে পায়, যে সহায়তা দিলে দেশীয় শিল্প আরও ভাল করবে, আমদানি বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠবে, দেশীয় মুদ্রা সংরক্ষণ এবং কর্মসংস্থান তৈরি হবে, সেখানে আমরা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রহমাতুল মুনিম বলেন, দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় আমদানি শুল্ক বিবেচনায় নিয়ে তার কাঁচামাল ও সমজাতীয় পণ্য আমদানি থেকে শুরু করে ভ্যাটের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সুবিধা দেয়া যেতে পারে এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পরামর্শকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, সকল ব্যবসায়ী নতৃবৃন্দের সঙ্গে আমরা প্রত্যেক বাজেটের আগে আলোচনা করি, যাতে দেশের শিল্প উন্নয়নে তাদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা দেশে সিরামিক পণ্যের কাঁচামালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, দেশে এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ৬৮টি সিরামিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক কারখানা দেশের ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে। এর মাধ্যমে খাতটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে।
এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ‘শ্রমঘন এই শিল্পটি আমাদের দেশের জন্য অনেক বেশি উপযোগী হলেও এর প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি-নির্ভর। এই আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আরোপের ফলে আমরা বিদেশি প্রতিযোগীদের সঙ্গে পেরে উঠছি না। তাই এই খাতের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ করছি।’
তিনি বলেন, এই খাতে ব্যবহৃত জিরকোনিয়াম সিলিকেট, প্রিন্টিং ইঙ্ক, কাভার কোট, ন্যানো ক্যামিকেলস, ক্যালসিয়ামসহ অনেক ধরনের কাঁচামাল সম্পূর্ণ আমদানির ওপর-নির্ভরশীল। কিন্তু এসব কাঁচামালের ওপর ক্ষেত্রেভেদে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নানা ধরনের শুল্কারোপ করা হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, সিরামিক এক সময় আমদানি-নির্ভর খাত ছিল। এখন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সিরামিক আমাদের দশে তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখনো দেশে অনেক গ্রাহক আছেন যারা বিদেশি পণ্য বেশি পছন্দ করেন। এমন গ্রাহকের জন্য দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে তিনি বিদেশি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব রাখেন।