বাসস দেশ-৩৮ : শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান

147

বাসস দেশ-৩৮
ওয়েবিনার-এসডিজি
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান
ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস): পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমরা বাজেট বরাদ্দ বিদ্যমান ২.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে (জিডিপি)’র ৪ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ আন্তর্জাতিক মানের করতে আমাদেরকে এটিকে ৬ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। তবে, যদি আমরা এটা ৪ শতাংশেও উন্নীত করতে পারি, তাও একটি বড় অগ্রগতি হবে।’
পরিকল্পনা কমিশনের এই সদস্য ‘স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার: কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং এসডিজিএস বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
জার্মান ভিত্তিক ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ড-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়েবিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে অ্যাকশন ফর সোশাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি)।
ড. শামসুল আলম বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বর্তমান বরাদ্দ হচ্ছে ১.৬ শতাংশ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে যদি এই বরাদ্দ আরো ২ শতাংশও বাড়ানো যায়, তবে এটা হবে বড় ধরনের একটি অগ্রগতি।
পরিকল্পনা অনুযায়ী যথাযথভাবে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য নীতি-নির্ধারকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে, যাতে করে বাজেট বরাদ্দ পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়।’
জিইডি সদস্য আরো বলেন, কিছু লোক বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা জাল কর্মসূচির আওতায় ভাতা গ্রহণ করলেও, তাদের সেই ভাতার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে, যাদের সত্যিকারেই ভাতার প্রয়োজন, তারা বাদ পড়ে যায়।
ড. আলম বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সকল দরিদ্র মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা জালের মধ্যে আনতে চায়।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য-সেবা, দারিদ্র ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে। যেমন- নারায়ণগঞ্জে দারিদ্রের হার ৩ শতাংশ, যেখানে রংপুরে এই হার অনেক বেশি।
তিনি আরো বলেন, ‘আর এ জন্যই আমরা অষ্টম পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।’
জিইডি সদস্য বলেন, মহামারির কারণে বাংলাদেশে কিছু ক্ষেত্রে অবণতি হলেও, উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশিল নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ সব ক্ষেত্রে খুব ভাল করেছে।
আলম আরো বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দারিদ্রের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এসডিজিএস সফলভাবে বাস্তবায়ন করা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ।
এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মাহফুজ কবির।
ওয়েবিনারে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. তৌফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. তানিয়া হক, ডক্টর ইসরাত শর্মি, উন্নয়ন-কর্মী তাহমিনা শিল্পী ও প্রতীক যুব সংসদের নির্বাহী প্রধান সোহানুর রহমান।
ডিজেএফবি সভাপতি হুমায়ুন কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সুশান্ত সিনহা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন।
বাসস/জিএম/অনুবাদ-কেএটি/১৯২২/এইচএন