বাসস দেশ-২৯ : সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ৮ মার্চ

87

বাসস দেশ-২৯
সগিরা-হত্যা-সাক্ষ্য
সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ৮ মার্চ
ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস): রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামি ৮ মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এই দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। জামিনে থাকা আসামি সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আইনজীবী সময়ের আবেদন করে। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার বাদি নিহতের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষ না হওয়ায় বিচারক জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের এদিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সগিরা মোর্শেদ সালাম ১৯৮৯ সালে ভিকারুন নিসা নূন স্কুলে মেয়েকে আনতে যান। বিকেল পাঁচটার দিকে সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরসাইকেলে আসা ছিনতাইকারীরা তার হাতে থাকা স্বর্ণের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সগিরা নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় সেদিনই রমনা থানায় মামলা করেন তার স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী। পরে মিন্টু ওরফে মন্টু ওরফে মরণের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক। সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় সাতজনের। সাক্ষ্য গ্রহণকালে মারুফ রেজা নামে এক ব্যক্তির নাম আসায় অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই বছরের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা (১০৪২/১৯৯১) করেন মারুফ রেজা। যিনি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকটাত্মীয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের ২ জুলাই ওই তদন্তের আদেশ ও বিচারকাজ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ১৯৯২ সালের ২৭ আগস্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার বিচারকাজ স্থগিত থাকবে বলে আরেকটি আদেশ দেয়া হয়।
২০১৯ সালের ২৬ জুন এ মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলা ৬০ দিনের মধ্যে পিবিআইকে অধিকতর তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেয়।
একই বছরের ২০ নভেম্বর পিবিআইকে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তদন্তের জন্য আরও ৬০ দিনের সময় বাড়িয়ে দেন। এরপর পিবিআই বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। চারজনই হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারিক আদালতে জবানবন্দি দেয়।
২০২০ সালের ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
এরআগে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চারজনকে আসামি করে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন, সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি মারুফ রেজা।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/১৭৫৮/এএএ