বাংলাদেশ-মার্কিন অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে মোমেনের আহ্বান

191

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ আরো মার্কিন বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পণ্যের শুল্ক হ্রাসের পাশাপাশি দেশটির সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় ঢাকা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন চেম্বার অব কমার্স’র সাথে এক বৈঠকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ – ইউএস অর্থনৈতিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশ মার্কিন বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়।
ইউএস চেম্বার অব কমার্স পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেনের সঙ্গে ” বাংলাদেশ – ইউএস শক্তিশালী বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনায় বলেন, জলবায়ু, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে লক্ষ লক্ষ গামের্ন্টস নারী শ্রমিকদের সহায়তা করতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানী, শিপবিল্ডিং এবং রিসাইক্লিং, অটমোবাইল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং , রাসায়নিক সার, কৃষি প্রক্রিয়াকরন, ওষুধ, সিরামিক এবং প্লাস্টিক পণ্য, আইসিটি সমূদ্র সম্পদ আহরন, পর্যটন এবং চিকিৎসা সামগ্রী খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশ-ইউএস বাণিজ্য কাউন্সিল উদ্বোধনে তার সমর্থন ব্যাক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতি, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং জ্বালানী ট্রানজিন চালু করতে অংশীদারিত্বের সুযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনের জন্য তাঁর বলিষ্ট নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন।
ইউএস চেম্বার অফ কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ( দক্ষিন এশিয়া) এবং সাবেক সহকারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা বিসওয়াল বাংলাদেশ কি ভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকানদের বাণিজ্য আগ্রহের বিষয় নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম এবং মাকির্ন পররাষ্ট্র দফতরের উপ সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরা স্টোন, ইউএস- বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড , জ্বালানী, ব্যাংকিং, বীমা, ডিজিটাল অর্থনীতি,আর্থিক সেবা,স্বাস্থ্য সেবা, আকাশ ও প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য সেক্টরে অংশগ্রহন বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভাবে সক্রিয় অংশীদার হিসাবে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।