ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া কল্পনাই করা যায় না : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

247

ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া কল্পনাই করা যায় না। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রজ সৈনিক।
তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির অব্যবহিত আগে বাংলাকে পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করেছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালের ৭ জুলাই কলকাতার ‘ইত্তেহাদ’ পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর এ দাবি প্রকাশিত হয়েছিল।’
আজ বিকেলে আইইবি সদর দফতরের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘চেতনায় ভাষা শহীদ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতর, আইইবি ঢাকা কেন্দ্র, ইআরসি ঢাকা এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ (বিপিপি)’র যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সনের ৩ মার্চ গোপালগঞ্জে ৪০০ মানুষের এক জনসমাবেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ভাষা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে’। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষার দাবিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঢাকায় হরতাল পালিত হয়। তিনি পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এটি ছিল তার জীবনের প্রথম রাজনৈতিক কারাবরণ। ১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চ মুক্ত হয়েই তিনি ১৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং সামনের সারিতে থেকে এ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় (ডুয়েট)’র উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান।
সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন ও অর্থ) প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (একা. এন্ড আন্ত.) প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইইবি’র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু),পিইঞ্জ.। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের সম্পাদক কাজী খায়রুল বাশার।