বাসস দেশ-৪৮ : ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন অভিযানে ৮১ হাজার টাকা জরিমানা

164

বাসস দেশ-৪৮
ডিএনসিসি-মশক-নিধন
ডিএনসিসির বিশেষ মশক নিধন অভিযানে ৮১ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ মশক নিধন অভিযানের পঞ্চম দিনে আজ মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৫টি মামলায় ৮১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ সময় ৬ হাজার ২ শ’ ২৩টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ১৬টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪ হাজার ৩ শ’ ১৬টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। গত শনিবার থেকে এই অভিযান শুরু হয়।
ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) আজ ৭৭০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬ শ’ টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় ৪টি মামলায় ৬১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) ১ হাজার ৭ শ’ ৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১ শ’ ৮৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২ শ’ ১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৮০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১ শ’ ৫৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৩ শ’ ৪৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৬ শ’ ৭৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫ শ’ ১৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৭ শ’ ৭১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ শ’ ৬৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ৩ শ’ ৯০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩ শ’ ৪০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা
সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
শুক্রবার ব্যতীত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন এ অভিযান চলমান থাকবে বলে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২১১৫/এসই