চট্টগ্রামে গ্রাম আদালত আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

282

চট্টগ্রাম, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : গ্রাম আদালত আইন ও নারীবান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ সভা আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম জেলা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক বদিউল আলম-এর সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরজাহান আক্তার সাথীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তার, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক সাঈদ হাসান, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. আজিজুল হক নিউটন ও চট্টগ্রামের স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায় প্রকল্প) অগ্রগতি ও বাস্তবায়নের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ডিষ্ট্রিক ফেসিলেটেটর (জেলা সমন্বয়কারী) উজ্জল কুমার দাস চৌধুরী।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ‘গ্রামীণ সমাজের বিচার ব্যবস্থায় মানুষ সন্তষ্ট নয়। গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।’
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত নামে সরকারের যে একটি আদালত আছে সে বিষয়েই গ্রামের মানুষ ভালোভাবে জানেন না। বিচার ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হলেও গ্রামের জনগণের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা আছে। গ্রামের বিচারিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে।
উজ্জল কুমার দাস চৌধুরী সভায় জানান, চট্টগ্রাম জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৪৬ টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় সাধারণ জনগণ সেবা পাচ্ছেন। জেলার সকল উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে ৮ বিভাগে ২৭ টি জেলায় ১২৮ উপজেলায় ১ হাজার ৮০ টি ইউনিয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাদের মামলা নিষ্পত্তির হার ৯৭ শতাংশ।
ডিস্ট্রিক্ট ফেসিলিটেটর আরও জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে সহজে কম খরচে দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠি ও নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। সভায় জানানো হয়, ১৯৭৬ সালের গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ অনুসারে ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তবে এ আইনে যৌতুক মামলা নিষ্পত্তির বিধান নেই।
গ্রাম আদালতের বিচারাধীন মামলার শুনানি ৭ দিনের বেশি রাখার বিধান নেই। মামলা দায়েরের ১৫ দিনের মধ্যে মামলার শুনানী করার বিধান রয়েছে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট গ্রাম আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রকাশ্যে সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিধান রয়েছে বলে অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়।