বাসস দেশ-৩৪ : বগুড়ায় ২৭ হাজার খামারি করোনাকালীণ প্রণোদনা পাচ্ছেন

90

বাসস দেশ-৩৪
খামারি- প্রণোদনা
বগুড়ায় ২৭ হাজার খামারি করোনাকালীণ প্রণোদনা পাচ্ছেন
বগুড়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস) : ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় জেলার ২৭ হাজার ৩৮১জন গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারিকে করোনাকালীন প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, ইতিমধ্যে ২৩ হাজার ৬২০জন খামারির মাঝে প্রণোদনার ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার ১২৫ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বাকি তিনহাজার ৭৫৮ জন খামারিকে পর্যায়ক্রমে করোনাকালীন প্রণোদনার টাকা প্রদান করা হবে।
জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তার আরো জানান, ১২ হাজার খামারির প্রত্যেককে দুইটি থেকে পাঁচটি গরুর খামারের জন্য দশহাজার টাকা, ছয়টি থেকে নয়টি গরু নিয়ে গঠিত খামারে জন্য পাঁচহাজার ১৮০ জন খামারির প্রত্যেকে ১৫ হাজার টাকা, ১০টি থেকে ২০টি গরু নিয়ে গঠিত খামারের ৫৬২ খামারির প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন।
তিনি জানান, পোলট্রি ফার্মের খামারিদের (সোনালী) মধ্যে যাদের একশ’টি থেকে পাঁচশ’টি মুরগি নিয়ে গঠিত খামারের একহাজার ৬১৯জন খামারির প্রত্যেকে পাবেন চারহাজার ৫০০ টাকা। ৫০১ টি থেকে একহাজারটি মুরগি নিয়ে গঠিত খামারের ৫৬৮ জন খামারির প্রত্যেকে পাবেন ছয়হাজার ৭৫০ টাকা। জেলায় একহাজারএকটি থেকে বেশি মুরগি নিয়ে গঠিত খামারের ৩৫১ জন খামারির প্রত্যেককে নয়হাজার টাকা প্রদান করা হবে ।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরও জানান, যাদের খামারে পাঁচশ’ থেকে একহাজারটি পর্যন্ত ব্রয়লার মুরগি আছে এমন একহাজার ৮৬জন খামারির প্রত্যেকে দেয়া হচ্ছে ১১হাজার ২৫০ টাকা করে। ৩৯৬ জন খামারি যাদের খামারে একহাজারএকটি থেকে দুইহাজারটি ব্রয়লার মুরগি আছে তাদেরকে ১৬ হাজার ৮৭৫ টাকা করে দেয়া হচ্ছে। ২২০ জন খামারি যাদের খামারে দুইহাজারটির অধিক সংখ্যক ব্রয়লার মুরগি আছে তারা প্রত্যেকে পাচ্ছেন ২২ হাজার পাঁচশ’ টাকা।
অন্যদিকে, দু’শ থেকে পাঁচশ’ লেয়ার মুরগি আছে এমন ৩৮৭ জন খামারি পাচ্ছেন ১১ হাজার ৫৯০ টাকা করে। ৫০১টি থেকে একহাজারটি লেয়ার মুরগি আছে এমন ২৯২ জন খামরির প্রত্যেতে পাবেন ১৬ হাজার ৮৭৫ টাকা করে। একহাজার একটির বেশি লেয়ার মুরগি আছে এমন ২০২ জন খামারি পাবেন ২২ হাজার পাঁচশ’ টাকা করে।
এছাড়াও, একশ’ থেকে পাঁচশ’ হাঁস আছে এমন ২৪৯ জন খামারি পাচ্ছেন তিনহাজার ৩৭৫ টাকা করে।৩০১টি থেকে পাঁচশ’ হাঁস নিয়ে গঠিত খামারের ১৫৮ জন খামারির প্রত্যেকে পাচ্ছেন ৬ হাজার ৭৫০ টাকা। ৫০১টির বেশি হাঁস আছে এমন ১০৬ জন খামারির প্রত্যেকে পাচ্ছেন ১১ হাজার ২৫০ টাকা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ পর্যন্ত গরু, মুরগি ও হাঁসের জন্য ২৩ হাজার ৬২৩ জন খামারির মধ্যে প্রণোদনার টাকা বিতরন করা হছে। এ টাকা ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প’ থেকে সরাসরি খামারিদের মোবাইলে বিকাশ-এর মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৮৪০/এমকে