ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে মামলা

294

ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস): ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান বাদি হয়ে এ মামলা করেন। আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করে ৩০ মার্চের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাদির (রাকিব হাসান) সঙ্গে আসামি তামিমা সুলতানার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক ৩ লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে এবং রেজিস্ট্রি হয়।
বিয়ের পর হতে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে থাকেন। তাদের তোবা হাসান নামে ৮ বছরের মেয়ে রয়েছে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। তিনি সৌদি এয়ারলাইন্সে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন এবং মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রাকিবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে আসামির (ক্রিকেটার নাসির) কথিত বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা বাদির নজরে আসে। বাদি এই ধরনের ছবি দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর দেখে তিনি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদির সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাসির বাদিকে ফোন করে জানান, তামিমা তার কাছে রয়েছেন। বাদির সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমা-নাসিরের বিয়ে ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। আসামির সঙ্গে তিনি অবৈধ বিয়ের সম্পর্ক দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, যা নিকৃষ্ট ব্যভিচার বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘আসামিদের এরূপ অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদি ও তার শিশু কন্যা মারাত্মকভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এহেন কার্যকলাপে বাদির চরমভাবে মানহানি হয়েছে যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’