বাসস দেশ-৭ : চট্টগ্রামে নতুন ৯৬ জনের দেহে করোনা সনাক্ত

120

বাসস দেশ-৭
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে নতুন ৯৬ জনের দেহে করোনা সনাক্ত
চট্টগ্রাম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে আরো ৯৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরীর আটটি ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার ১ হাজার ৫১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৮ জন এবং সাত উপজেলার ৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৬১৯ জন। এর মধ্যে শহরের ২৭ হাজার ১৪৫ জন এবং গ্রামের ৭ হাজার ৪৭৪ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল সংক্রমিতদের মধ্যে হাটহাজারীতে ২ জন এবং রাউজান, সীতাকু-, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৭১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের ২৭০ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫২ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩১ হাজার ৮৮৯ জনে উন্নীত হলো। হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ২০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১০ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৩৭ জন।
উল্লেখ্য, গতকাল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চলতি মাসে একদিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। পহেলা ফেব্রুয়ারি এ মাসে একবারই শতক পেরিয়ে (১০৮ জন) যায়। গত ২২ দিন ধরে চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। এ সংখ্যা আশি থেকে ওপরে উঠেছিল আরো চার দিন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। কারো মৃত্যু হয়নি। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮২ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। কোনো রোগীর মৃত্যু ছিল না। ৭ ফেব্রুয়ারি ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২ ফেব্রুয়ারি ৮০ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। দুই দিন শনাক্ত বাহকের সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে নেমেছিল। এর একদিন (৬ ফেব্রুয়ারি) করোনাকালের সর্বনি¤েœর রেকর্ড হয়। এদিন ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। এছাড়া, চট্টগ্রামে গত ছয় দিন করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সর্বশেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি করোনায় এক রোগী মারা যান। এদিন নতুন ৭৬ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। হার ছিল ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ৭৫৭ জনের নমুনায় ২৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৫৪ জনের নমুনায় ১১ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৫২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৭ টি নমুনার ৩ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে।
নগরীর বেসরকারি তিন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ১০৩ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ২১, ১১ ও ১ জনের মধ্যে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়।
এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৪২, চবি’তে ০ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৯ দশমিক ৪০, আরটিআরএল-এ ৪২ দশমিক ৮৬, শেভরনে ২০ দশমিক ৩৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬ দশমিক ১৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়।
বাসস/জিই/কেএস/১২২৫/জেহক