বাসস দেশ-৩ : শেরপুরে হবে বীজআলুর টিস্যুকালচার খামার : হুইপ আতিক

143

বাসস দেশ-৩
বীজআলু-টিস্যুকালচার
শেরপুরে হবে বীজআলুর টিস্যুকালচার খামার : হুইপ আতিক
শেরপুর, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : মানসম্মত ও উন্নতজাতের বীজআলু উৎপাদনের জন্য জেলা সদরের লছমনপুর ইউনিয়নে ১০০ একর এলাকা নিয়ে বিএডিসি টিস্যুকালচার খামার নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাইসহ একটি প্রকল্প প্রস্তাব কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি।
জেলা সদরের লছমনপুর এলাকায় গতকাল বিকেলে বিএডিসির বীজআলু উৎপাদনের এক প্রদর্শনী মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ আতিক এ তথ্য জানান।
জেলার চরাঞ্চলের মাটি আলু এবং বীজ আলু চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এখানকার উৎপাদিত বীজআলুর মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় আলু চাষাবাদে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শেরপুর আলু বীজ হিমাগারের অধীনে দেশী-বিদেশী ২০টি জাতের আলুর বীজ উৎপাদনে এক প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া দক্ষিণ এলাকায়। বিএডিসির মানসম্মত আলুবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ প্রকল্পের আওতায় এতে মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাই করতে ওই এলাকার কৃষক মইনুল ইসলামের ২ একর জমিতে ২০টি প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। এসব প্লটে যেসব বীজ আলুর আবাদ করা হয়েছে সেগুলো হলো- ল্যাবেলা, প্রাডা, কুইনএনি, এস্টারিক্স, সানসাইন, সেভেন ফোর সেভেন, সান্তানা, ইনোভেটর, বারি-৩৫, ডায়ম-, ডোনাটা, এডিসন, বারি-৩৬, ক্যারোলাস, বারি-৪০, অ্যালকেন্ডার, মিউজিকা, বারি-৪১, অ্যালুইটি ও অ্যাডাটো। মাঠ দিবসে চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
স্থানীয় জমসেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা। তিনি বলেন, আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হয়েছি। আলু বর্তমানে ১ কোটি টন আলু উৎপাদিত হয়। যা চাহিদার তুলনায় আরও ৩০ লাখ টন উদ্ধৃত্ত থাকে। এই উদ্ধুত্ত আলু বিদেশে রপ্তানীর চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার। এতে আলু চাষীরা অর্থনৈতিকভাবে আরও লাভবান হতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর আলূবীজ হিমাগারের উপ-পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ সাজেদুর রহমান। কৃষিবিদ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে, ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মিয়া, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, আলু চাষী মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল হাই প্রমুখ।
শেরপুর আলু বীজ হিমাগারের উপ-পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ সাজেদুর রহমান জানান, ভালো উৎপাদনের মুল শর্ত হলো ভালো বীজ ব্যবহার। মানসম্মত বীজ ব্যবহার করে আলু চাষীরা কীভাবে আরো লাভবান হতে পারেন, সেজন্য বিএডিসি নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শেরপুর অঞ্চলে এখন মাত্র ৬ প্রজাতির বীজ আলু ব্যবহার করা হয়। তাই আরো নতুন-নতুন জাত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উচ্চ ফলনশীল দেশী-বিদেশী ২০টি জাতের প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। এতে কৃষকরা নতুন-নতুন জাতের আলু আবাদে উৎসাহিত ও উদ্ধুদ্ধ হবে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/০৯৪০/কেজিএ