মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে চসিক মেয়রের কাজ শুরু

385

চট্টগ্রাম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী তার প্রতিশ্রুতির প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উদ্যোগ বাস্তবায়ন কার্যক্রমের সূচনা করেছেন। মশকনিধন ও পরিচ্ছন্নতাকে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নতুন থানা চত্বরে তিনি এ কর্মসূচী শুরু করেন।
এসময় তিনি বলেন, নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র পদে ৫ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ের মধ্যে সকলের শতভাগ চাহিদা পূরণ কখনও সম্ভব নয়। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক স্বস্তি প্রদানে আমার সামর্থ্য ও করপোরেশনের সক্ষমতা উজার করে দিতে আমি দৃঢ় প্রত্যয়ী।
মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মেয়র বলেন, মশার বিস্তার নাগরিক দুর্ভোগ ও বড় অসহনীয় উপসর্গ। তাই প্রথম ২০ দিনের মধ্যে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে। তিনি এই অভিযানে স্বপ্রণোদিত হয়ে নগরবাসীদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চসিক মশক নিধনের ওষুধ ছিটাবে এবং প্রকাশ্য স্থান ও নালা-নর্দমার আবর্জনা ও বর্জ্য পরিস্কার করবে। কিন্তু শুধু এভাবেই মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা।
তিনি বলেন, নিজ গরজেই বাসা-বাড়িতে মশক প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল বিনাশ এবং বর্জ্য-আবর্জনা সরিয়ে ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। নালা নর্দমায় বা খালে ও পানি চলাচলের পথে কেউ পলিথিন ও প্লাস্টিক, বর্জ্য-আবর্জনা ফেলতে পারবেন না। ফেললে তা হবে দন্ডনীয় অপরাধ।
মেয়র বলেন, মনে রাখতে হবে সিটি করপোরেশন শুধু মেয়রের একার নয়, প্রত্যেক নগরবাসীর। মশক নিধনে সিটি করপোরেশন যে ওষুধ ছিটায় তার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মশার ওষুধের মান নির্ণয়ে তা ঢাকায় ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, নগরের অনেক সড়ক যান ও জনচলাচল অনুপযোগী। এগুলো এক সাথে সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব নয়। যেগুলোর বেশি বেহাল অবস্থা, সেগুলো আগে মেরামত ও খানা-খন্দক ভরাট করা হবে। নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সক্ষমতা, ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত-প্রকৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাই ধৈর্য্য ধরতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর এসারারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রমুখ মেয়রের সাথে ছিলেন।