বাসস দেশ-১৬ : বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আফসার উদ্দীন আহমেদকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান কাল

100

বাসস দেশ-১৬
একুশে পদক
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর আফসার উদ্দীন আহমেদকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান কাল
নড়াইল, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ভাষা সংগ্রামের ৬৯বছর পর নড়াইলের কৃতি সন্তান ভাষা সংগ্রামী অ্যাডভোকেট মৌলভী আফসার উদ্দীন আহমেদ একুশে পদকে ২০২১ (মরণোত্তর) ভূষিত হয়েছেন। আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রয়াত ভাষা সৈনিকের সর্বকনিষ্ঠ কন্যা ঢাকা মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট লেখিকা প্রফেসর শারমিনা পারভীন হ্যাপী বাবার পক্ষে পদকটি গ্রহণ করবেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চয়াল মাধ্যমে এ পদক প্রদান করবেন।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ভাষা সংগ্রামের এতো বছর পর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ায় তার পরিবার এবং নড়াইলবাসী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। এদিকে ভাষা সৈনিকের বড় সন্তান শহীদ সাঈফ মিজানুর রহমান ২০১৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। তাঁর স্ত্রী পাকিস্তান আমলে বাংলার কয়েক দফা মন্ত্রী এবং বাংলার পার্লামেন্টের স্পিকার নড়াইলের কৃতি সন্তান সৈয়দ নওশের আলীর ভাগ্নি কে এফ মতিয়া আহমেদ ।
বড় ছেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী সাঈফ মীজানুর রহমান পিরোজপুরে ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রেজারি অফিসার থাকাকালীন স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাতে ১৯৭১ সালের ৫ মে নির্মমভাবে নিহত হন। নরপিশাচেরা জীবিত মীজানকে ট্রাকের সাথে বেঁধে সারা পিরোজপুরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরিয়ে তাঁকে হত্যা করেছিল। ১৯৯৬ সালে সরকার তাঁর নামে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করে এবং ২০১৪ সালে তাঁকে মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে মরণোত্তর স্বাধীণতা পদকে ভূষিত করে।
তিন পুত্র ও তিন কন্যার জনক তিনি। সন্তানেরা সকলেই উচ্চশিক্ষিত ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। বড় ছেলে সাঈফ মীজানুর রহমান শহীদ বুদ্ধিজীবী। মেজো ছেলে সাবেক সাংসদ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাঈফ হাফিজুর রহমান খোকন নড়াইলের বিভিন্ন সামাজিক, সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক কাজের কাজের সাথে যুক্ত। নড়াইল থেকে প্রকাশিত ‘‘নড়াইল বার্তা’’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। ছোট ছেলে ড. সাঈফ ফাতেউর রহমান শিক্ষাবিদ হিসাবে গবেষণাসহ জাতীয় পর্যায়ে অনেক সৃষ্টিশীল কাজ করে যাচ্ছেন। কন্যা আফরোজা পারভীন পপী বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসন ক্যাডারে (যুগ্মসচিব) গুরুত্বপূর্ণ সরকারী দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে আছেন। সর্বকনিষ্ঠ কন্যার নাম প্রফেসর শারমিনা পারভীন হ্যাপী। তিনি মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য, বরেণ্য এ ব্যক্তিত্ব ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের কাজলা নদীর তীরবর্তী বর্ধিষ্ণু জনপদ চাঁচড়ার প্রখ্যাত বিশ্বাস পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৯০ সালের ৩১ ডিসেম্বর নড়াইল শহরের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৮১১/নূসী