পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ মন্ত্রী

206

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের পরিবেশের সুরক্ষায় সরকার কোন ধরনের ছাড় দেবে না বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সরকার দেশের পরিবেশের উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করবে। মো. শাহাব উদ্দিন আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় পরিবেশ কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৫তম সভা শেষে এ কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, নৌ পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার সহ কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, জাতীয় পরিবেশ নীতি-২০১৮’র আগের নীতিমালার ১৫টি বিষয় ছাড়াও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ, পাহাড়, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং জীবনিরাপত্তা, প্রতিবেশ বান্ধব পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার প্রস্তুতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবস্থাপনা, অন্যান্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বান্ধব অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই উৎপাদন অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, জাতীয় পরিবেশ নীতিতে চিহ্নিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলো তাদের নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
কঠিন ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, হাসাপাতাল ও ক্লিনিকে পরিবেশ বান্ধব ইনসিনারেটর ও ইটিপি স্থাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে এবং পলিথিন, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ছিদ্রযুক্ত ইট তৈরি এবং বিভিন্ন ধরনের ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে বাধ্যতামূলক করা হবে। ব্লক ইট তৈরিতে শুল্ক হ্রাস ও প্রণোদনা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, নির্মাণ কাজের টেন্ডার সিডিউলে বায়ুদূষণ রোধে সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি বিআরটিএ এবং পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, নিয়মিতভাবে পর্যায়ক্রমে ফিটনেস বিহীন যানবাহন রাস্তা থেকে প্রত্যাহারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাহাড়, প্রতিবেশ সংরক্ষণে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধের বিষয়ে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কাটার প্রয়োজন হলে বাধ্যতামূলকভাবে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছ থেকে হিল কাটিং ম্যানেজমেন্ট প্লান অনুমোদন নিয়ে পাহাড় কাটতে হবে।
পাহাড় কাটার কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট প্রত্যাশী সংস্থা কর্তৃক কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুকুর, ডোবা, খাল, বিল, নদী ও কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক জলাধার ভরাট বা শ্রেণী পরিবর্তন করা নিরুৎসাহিত করা হবে। আর জাতীয় স্বার্থে ভরাট করার প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। প্রাকৃতিক জলাশয় ও পুকুরসমুহ বাধ্যতামূলকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় কোন ভরাট কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না।