বাসস দেশ-৩৩ : সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন ও কাঙ্খিত ফল অর্জনে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই : শিল্পমন্ত্রী

93

বাসস দেশ-৩৩
প্রোডাকটিভিটি – অ্যাওয়ার্ড
সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়ন ও কাঙ্খিত ফল অর্জনে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প নেই : শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি,২০২১ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সরকারের রূপকল্পের সাফল বাস্তবায়ন ও কাঙ্খিত ফল অর্জনে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
রূপকল্প- ২০৩১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে শিল্পায়নকে মূলভিত্তি হিসেবে নির্ধারন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার আধুনিক শিল্পায়নে বেসরকারি উদ্যোক্তা উন্নয়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করছে। মন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আজ সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ এবং ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’র ট্রফি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি ও এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনপিও’র পরিচালক (যুগ্ম সচিব) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক/প্রতিনিধিসহ সরকারী-বেসিরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সবুজ উৎপাদনশীলতার উপর গুরুত দিয়ে এনপিও তাদের কার্যক্রম চলমান রেখেছে। পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কল-কারখানায় সবুজ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি পুরস্কার প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘আপনারা নিজ নিজ শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্যান্য শিল্প কারখানার জন্যও মডেল হিসেবে পরিচিত হবেন।’
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও এর উন্নয়নে কাজ করছে। কল-কারখানায় শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেলে মালিক, শ্রমিক, ভোক্তা এমনকি সরকারও তার সুফল পেয়ে থাকে। কামাল আহমেদ মজুমদার শ্রমিকদের প্রতি আরও যতœশীল হয়ে তাদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান। শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর চ্যালেঞ্জের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শিল্পখাত আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের সহযোগীতা ও এফবিসিসিআই’র সকল সদস্য ও এসোসিয়েটদের সফল চেষ্টায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগের ন্যায় ঘুরে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পসচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর সংস্থা এবং শিল্প উদ্যোক্তাসহ সকলকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ সফলভাবে অর্জন করতে হবে। তিনি অস্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে শিল্প উদ্যোক্তাদের সহযোগীতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, বৃহৎ ,মাঝারি এবং অন্যান্য ক্যাটাগরি মিলিয়ে ২০১৯ সালের জন্য মোট ৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়াড পেয়েছে। অপরদিকে ইনস্টিটিউশনাল এপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ২টি ট্রেডবডি ও এসোসিয়েশন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৯০২/কেএমকে