বাসস দেশ-১৯ : শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের সমাধিতে জাসদের শ্রদ্ধা

91

বাসস দেশ-১৯
জাসদ-শ্রদ্ধা
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের সমাধিতে জাসদের শ্রদ্ধা
ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : আজিমপুর কবরস্থানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রপথিক ও মহান শহীদ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫২তম হত্যা দিবসে আজ দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুুল্লাহিল কাইয়ূম, শওকত রায়হান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি হাজী ইদ্রিস ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, ছাত্রলীগ (হা-ন) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননীসহ জাসদ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাসদ নেতারা উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক ছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রপথিক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহীদ।
তারা বলেন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের আত্মবলীদান বাঙালিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির লক্ষ্যে সংগ্রামে মরিয়া করে তুলেছিল। সার্জেন্ট জহুরুল হকের রক্ত প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীনতার মন্ত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছিল। সার্জেন্ট জহুরুল হকের রক্তরঞ্জিত পথ বেয়েই বাঙালি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করেছিল।
তারা বলেন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হত্যা বাঙালি জাতির হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুণ জ্বেলে দিয়েছিল। বাঙালি জাতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসন-শোষনের নাগপাশ থেকে মুক্তির আন্দোলনে মরিয়া হয়ে ওঠে। তৎকালীন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে স্বাধীনতার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা ‘স্বাধীনতার নিউক্লিয়াসের’ তত্ত্বাবধায়নে ছাত্রলীগের বিপ্লবী ধারা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের স্বাধীনতা অর্জনের প্রচেষ্টা ও চেতনায় ‘সার্জেন্ট জহুরুল হকের রক্ত/স্বাধীনতার মন্ত্র’ শ্লোগানকে ধারণ করে সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ১৯৬৯ সালে ‘১৫ ফেব্রুয়ারি বাহিনী’ ও ‘জহুর বাহিনী’ গড়ে তোলে। ১৯৭০ সালে এই জহুর বাহিনীর রেজিমেন্টাল পতাকা হিসেবে যে পতাকা তৈরি হয়েছিল সেই পতাকাই পরবর্তীতে জাতীয় পতাকায় পরিণত হয়। জহুর বাহিনীই পরবর্তীতে জয় বাংলা বাহিনী, জয় বাংলা বাহিনীই মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ তথা মুজিব বাহিনী হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৭৪০/-এএএ