বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ক্যান্সারের ওপর বেশি করে গবেষণার গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

149

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ক্যান্সার-গবেষণা (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
ক্যান্সারের ওপর বেশি করে গবেষণার গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকরাও গবেষণায় খুব একটা সময় ব্যয় না করে রোগী দেখেই সময় কাটান।
তিনি বলেন, ‘আসলে যাদের গবেষণা করার কথা সেসব চিকিৎসকরা রোগী দেখতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। কাজেই হাতে গোনা খুব কমজনকেই আমি দেখি তাদের পাবলিকেশন্স এবং রিসার্চ।’
যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালেই জাতির পিতা প্রতিটি ইউনিয়নে ১০ শয্যার একটি করে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা সেবা জনগণের একদম দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল।
তিনি বলেন, দেশ যখন স্বাধীনতার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুনভাবে এগিয়ে চলা শুরু করেছে তখনই ঘাতকচক্র ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে সেই অগ্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দেয়। এর মাধ্যমে একটি আদর্শকে হত্যা করা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস আসার পরেই ৭ দিনের মধ্যে আমরা ২ হাজার ডাক্তার, ৬ হাজার নার্স এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো নিয়োগের পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য যা যা করা দরকার তাঁর সরকার তা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমাদের এই পদক্ষেপের ফলে আজকে করোনাভাইরাস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ সময় প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহিতা কুমুদিনী হাসপাতালের সিনিয়র নার্স বেরোনিকা ডি কস্তাকেও তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এক সময় টিকা দেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও এখন আর কোন সমস্যা নেই, সকলে আগ্রহ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে আসছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বলে দিয়েছি ৪০ বছরের বেশী বয়সী সকলে টিকা পাবে এবং আইডি কার্ড সাথে নিয়ে গেলে তারা ফর্ম পাবেন এবং রেজিস্ট্রৈশনও করতে পারবেন। গতকালও প্রায় এক লাখ ৯৪ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন এবং আমরা ৩ কোটি টিকা কিনে রেখেছি। একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সকলকেও আমরা টিকা দেব।
তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেয়া সত্বেও সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্œ থাকতে হবে। তাহলে আমি মনে করি আমাদের দেশ থেকে করোনার প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি চলে যাবে। তাই সাবাইকে এটা মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ যাতে সেবা পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাঁর সরকার জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছে, সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ নার্সিং এবং মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন ২০১৬ ও সরকার প্রণয়ন করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাত আরো একধাপ এগিয়ে গেল এবং বেসরকারি খাত আরো উৎসাহিত হবে এবং সকলেই চাইবে যেন এ ধরনের সেবামূলক কাজ করতে পারে।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৪৪৫/-আসাচৌ