বাসস দেশ-৩৯ : নীলফামারীতে শ্লীলতাহানীর দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন এবং স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে স্বামীর কারাদন্ড

149

বাসস দেশ-৩৯
যাবজ্জীবন-কারাদন্ড
নীলফামারীতে শ্লীলতাহানীর দায়ে গৃহশিক্ষকের যাবজ্জীবন এবং স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে স্বামীর কারাদন্ড
নীলফামারী, ১১ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : জেলায় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর মামলায় গৃহশিক্ষক ওয়াজেদ আলী টুকুর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড হয়েছে। অপরদিকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের দায়ে স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের ৭ বছরের সশ্রম কারাদ-, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক পৃথক দুই মামলায় ওই সাজা প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতে ওই রায় প্রদান করা হয়। ওয়াজেদ আলী টুকু সৈয়দপুর উপজেলার পূর্ব বেলপুকুর দেড়ানী গ্রামের মৃত খাতির আলীর ছেলে। আব্দুর রাজ্জাক জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বিশমুড়ি গ্রামের মৃত কজির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণমতে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে একাধিকবার শ্লীলতাহানী করে গৃহশিক্ষক ওয়াজেদ আলী টুকু। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী চার মাসের অন্তসত্ত্বা হলে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ওয়াজেদ আলী টুকু। এঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ২৪ জুন টুকুকে প্রধান করে তিন জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত সৈয়দপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রদিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে থানার উপ-পরিদর্শক আজগর আলী ওই বছরের ১৫ আগস্ট ওয়াজেদ আলী টুকুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৯৯৪ সালের ১০ জুলাই জেলা সদরের বিশমুড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ২০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেন একই উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে আয়েশা খাতুনকে। এর পর ২০০২ সালে আরো ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবিতে আয়েশার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় স্বামী আব্দুর রাজ্জাকসহ তার পরিবার। এঘটনায় আয়েশা ২০০২ সালের ২২ আগস্ট স্বামী আব্দুর রাজ্জাককে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করলে সদর থানা পুলিশকে তদন্তের নিদের্শ দেন। আদালতের নিদের্শে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর প্রধান আসামী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
ওই আদালতের বিশেষ পিপি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী বলেন, ‘পৃথক দুই মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে ওয়াজেদ আলী টুকু ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক ওই সাজা প্রদান করেন।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৯৩৯/কেজিএ