বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ৫০ হাজার গৃহনির্মাণ করার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

124

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সিসিসি-শপথ
মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ৫০ হাজার গৃহনির্মাণ করার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী করোনার মধ্যে সাহস করে ভোটকেন্দ্রে আসায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোটারদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন তাঁর সরকার চট্টগ্রমের উন্নয়নে যেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে তার সুফল ইতোমধ্যে মানুষ পেতে শুরু করেছে।
তিনি মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তাঁরা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তাই জনগণের সেবাতেই নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবেন।
এই করোনাভাইরাসের সময়ও যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে ভোটাররা যারা ভোট দিতে গেছেন এবং যারা নির্বাচন পরিচালনায় সম্পৃক্ত ছিলেন তাঁদের সকলকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, নিজেরা খালি চোখে দেখলেই বুঝবেন পারবেন ’৯৬ সালের আগে বা ২০০৯ সালের আগে চট্টগ্রাম কেমন ছিল, আর এখন কেমন। কেবল চট্টগ্রাম নয় সারা বাংলাদেশেই তাঁর সরকার উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছে।
‘দেশের কল্যাণে কাজ করলে করা যায়, সেটা আমরা মনেপ্রাণে বিশ^াস করি,’ বলেন তিনি।
কোন দেশের উন্নয়নে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে জনসমর্থন সেটা জনগণের কাছ থেকে পাওয়ায় তিনি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এখানে জনগণের সমর্থনটা হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, যেটা আমরা পাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের পঞ্চবার্ষিক, ১০ ও ২০ বছর মেয়াদি প্রেক্ষিত এবং ডেল্টা মহাপরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ এক দেশ এবং সেই পরিকল্পনাটাই দিয়ে গেলেন।
করোনাকালিন অর্থনীতির স্থবিরতা কাটাতে তাঁর সরকারের দেয়া ২৩ দফা প্রণোদনার প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি যেন স্থবির না হয়ে যায় সেজন্য আমি প্রণোদনা দিয়েছি। যেখানে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষ, শিক্ষক থেকে শুরু করে সকলকে দিয়েছি, যতটুক সাধে কুলিয়েছে। কাউকেই আমি বাদ দেইনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবনের স্থবিরতা দূর করতেই তাঁর সরকারের এহেন পদক্ষেপ। সেইসঙ্গে প্রণোদণা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল সহ অন্যান্য খাত থেকেও তিনি করোনাকালিন জনগণকে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি আরো জানান, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা সহ সকল ধর্মীয় উপসনালয়, মাদ্রাসায় এমনকি নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরাও সহযোগিতা পেয়েছেন।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৮২৭/-শআ