ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড পেলেন ৩০ শিক্ষার্থী

404

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) পেলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে অধ্যয়নরত (নিয়মিত) ৩০ শিক্ষার্থী। বিভিন্ন বিষয়ে ভাল ফলাফল করায় তারা এই সম্মাননা পেয়েছেন।
এওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্যে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে রয়েছেন ২৬ জন আর স্নাতক (পাস) কোর্সে ৪ জন। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জনই ছাত্রী।
এদিকে, মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা গ্রন্থদ্বয় থেকে যা শিক্ষণীয়’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৪ জনকে নগদ অর্থ ও সনদ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার জুম অ্যাপসের মাধ্যমে আযোজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন।
তিনি ভাইস চ্যান্সেলর এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন।
অন্যদিকে, রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “মুজিববর্ষ উপলক্ষে বই দুইটি নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বই দুটি শুধু আত্মজীবনীমূলক বই নয়, একজন ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে বইগুলো পড়ার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই আকর গ্রন্থ। এই বইগুলো আমাদের সবার পাঠ্য হওয়া উচিত।’
এসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তারা দীর্ঘ সেশনজট নিরসন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৩ হাজার ৫০০টি ক্লাস অনলাইনে আপলোড, শিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ধারাবাহিকভাবে কলেজ পারফরমেন্স র‌্যাংকিং, মডেল কলেজ ও শতবর্ষী কলেজ প্রকল্প, বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমসহ নতুন নতুন উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার্থীদের অর্ধসমাপ্ত বা নতুন পরীক্ষা গ্রহণ করেছে, যা খুবই প্রশংসনীয়।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বডির শীর্ষস্থানীয় সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জুম অ্যাপসে যুক্ত ছিলেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ডপ্রাপ্ত (স্বর্ণপদক) স্নাতক (সম্মান) কোর্সের ২৬ শিক্ষার্থী হলেন- সাজেদুর রহমান (রাজশাহী কলেজ), জুঁই সেন (চট্টগ্রাম কলেজ), আবু তাকী (সরকারি আজিজুল হক কলেজ), শাহানাজ আক্তার (সরকারি তোলারাম কলেজ), মোছা. মাহফুজা খাতুন (সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজ), তনয়া খানম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ), তন্ময় বৈদ্য (বরিশাল ব্রজমোহন সরকারি কলেজ), নাওসাবা বুলিয়া (লালমাটিয়া মহিলা কলেজ), প্রিসিলা পারভীন প্রভা (ঢাকা সিটি কলেজ), মোসা. হাবিবা খাতুন হাসি (রাজশাহী কলেজ), সাদিয়া রহমান (সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ), উজ্জ্বল হোসেন (সরকারি আজিজুল হক কলেজ), তহমিনা আফরোজ বন্ধন (তেজগাঁও কলেজ), মৌসুমী খাতুন (রাজশাহী কলেজ), মাহামুদা আক্তার (সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ), হাসনাত জাহান ইভা (মাদারীপুর সরকারি কলেজ), সম্পা রানী (দিনাজপুর সরকারি কলেজ), মোছা. কুইনআরা (মাগুরা নাজির আহমেদ কলেজ), শোয়েব আহমেদ (বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ), মোসা. মৌসুমী আক্তার (লালমাটিয়া মহিলা কলেজ), তানিয়া নাসরিন (নওগাঁর চৌধুরী চাঁদ মোহাম্মদ মহিলা কলেজ), পূজা দত্ত (গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ), লিমা সিদ্দিক (কুমুদিনী সরকারি কলেজ), তাসনিম আক্তার (সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ), নাছরিন আক্তার (নোয়াখালী সরকারি কলেজ)।
আর স্নাতক (পাস) কোর্সের ৪ জন হলেন- জবাশ্রী তালুকদার (চট্টগ্রাম হাটহাজারী কলেজ), মোছা. রক্সিমা খাতুন (রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ), সীমা আক্তার (কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর আদর্শ মহিলা কলেজ), নাবিলা (শরীয়তপুরের এম. এ রেজা কলেজ)।
মুজিববর্ষের রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আফরাসীম আহমেদ (নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ), দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন মোছা. সাদিয়া আফরিন (রাজশাহী কলেজ), যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছেন শিলা আক্তার (সরকারি কুমুদিনী কলেজ) এবং এস এম দেলোয়ার হোসেন (চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ)।