বাসস দেশ-৪৭ : সরকার বিরোধী অপপ্রচারে জড়িত সামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

151

বাসস দেশ-৪৭
সামি-তদন্ত
সরকার বিরোধী অপপ্রচারে জড়িত সামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার আসামি সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
স¤প্রতি আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত সরকারবিরোধী প্রতিবেদনের সঙ্গেও সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা যায়।
বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১৩ জানুয়ারি এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদ।
মামলায় অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় এজাহারভূক্ত ৮ আসামিকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। তারা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মান প্রবাসী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, জুলকারনাইন সায়ের খান, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখার।
গত বছরের ৫ মে র‌্যাব-৩ সিপিসি-১ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদি হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি ফেসবুক পেজে আসামিরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। ওই পেজের অ্যাডমিন শায়ের জুলকারনাইন এবং আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ সমাচার, স্বপন ওয়াহিদ, মোস্তাক আহম্মেদ নামের ফেসবুক আইডিসহ পাঁচজন এডিটর পরস্পর যোগসাজশে ফেসবুক পেজটি দীর্ঘদিন পরিচালনা করছেন।
আহমেদ কবীর কিশোর, তাসনিম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের খান, সাহেদ আলম ও আসিফ মহিউদ্দিনের মধ্যে ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিং’ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, তাদের ব্যবহৃত স্যামসাং মোবাইল ফোনে ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনাভাইরাস, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তাসনিম খলিল, শায়ের জুলকারনাইন (জুলকারনাইন সায়ের খান), সাহেদ আলম, আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চ্যাটিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০১০/-শআ